রিচার্জ YOUR ডাউন ব্যাটারি
বইটি পড়লাম, ভালো লেগেছে। প্রিন্ট, কাগজ, কভারের মান ভালো .
#বই_রিভিউ বইর নাম - "রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারী "। লেখক - ঝংকার মাহবুব। তিনি প্রায় তিন দশক ধরেই লেখালেখি করে যাচ্ছেন। তিনি বুয়েট থেকে পাস করে,নর্থ ডেকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করে বর্তমানে আমেরিকার শিকাগো শহরে ওয়েব ডেভেলপাল হিসেবে কর্মরত আছেন। এই বইটা আমারে মনে হয়েছে যে, আমরা যখন প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি যে কোনো কাজ করার সময় / যে কোনো পরিস্তিতিতে , যেকোনো ধরনের কাজ করার সময় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।,তখন মাথার ভিতরে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে ,(সফল হতে পারবো কিনা, এই কাজ করলে লোকে কি বলবে ,যদি সফল না হই এরকম টাইপের ) এ সিচুয়েশন থেকে উদ্ধারের জন্য কারো না কারো থেকে গাইডলাইন নেয়া প্রয়োজন। আর বইতে সে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। বইতে এক ঘনিষ্ট বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনের গাইডলাইন দিচ্ছে। যে কোনো খারাপ সিচুয়েশন এ পড়লে যেকোনো কাজে সফল হতে হলে, কনফিডেন্স বাড়াতে হলে, সময়কে কাজে লাগাতে হলে, নিজেকে কন্টোলিত করতে হলে, ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে , বিজনেস করতে কি কি ফর্মুলা মানতে হবে, আত্নবিশ্বাসী হতে হলে কি করতে হবে ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং উদাহরণ দিয়ে বুজাতে চেয়েছেন।
রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি বই এর ধরনটা এমন,,, দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাত্তি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো! অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে? যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায়। দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায়। তাদের জন্য এই বই। এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো। এই বইটা পড়লে যে যে প্রশ্নের উত্তর পাবেন, ভালো একটি ক্যারিয়ারের জন্য নামকরা ইউনিভার্সিটি এবং সবচেয়ে ভালো সাবজেক্টটাই পেতে হবে। এটা কি আসলেই সত্যি? ‘ভালো লাগে না’ এই রোগের সমাধান কী? গান বা নাচ শিখতে চাই কিংবা নতুন কোনো স্কিল ডেভেলপ করতে চাই। হাজারটা ব্যস্ততার মাঝেও নিজের স্বপ্নটাকে কিভাবে সময় দিবো? কাজ করতে বা পড়াশোনা করতে বোরিং লাগে, ক্লান্ত লাগে। ডাউন ব্যাটারিকে কিভাবে রিচার্জ করবো? এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো। এটা কি ধরনের বই এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইনের বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইফে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই। ,,, তাই এই বইটি আপনার ব্যাক্তিগত জীবনে সফলতা অর্জন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা করি,,,,,
বইয়ের ধরনটা এমন, যে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। বড় ভাই ছোটভাইকে তুই বলেই সম্বোধন করে। যখনই ছোট ভাইটি কোন সমস্যায় পড়ছে, বড় ভাইয়া সে সমস্যাকে মোবাবেলা করার সাহস এবং উপায় দুই-ই বাতলে দিচ্ছেন। মোট চল্লিশটি চমৎকার লেখা বইটিতে ঠাঁই পেয়েছে। বইটির সূচিপত্রে দেখা মেলে লেখাগুলোর শিরোনাম জোড়া দিয়ে লেখা একটা চমৎকার ছড়ার। খাতাগুলোর শিরোনাম যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি লেখার ধরন। কোন কৃত্তিমতা নেই লেখায়, পড়তেও কোন সমস্যা হয় না। বইটির কোথাও কোন অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারনাও লেখক করেননি। দুটি চরিত্রের সংলাপের মধ্যে চিত্রিত করেছেন আমাদের সমস্যাগুলোকে, বাতলে দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর পথ। বইটি মেকি কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার পাঠ। প্রতিটি লেখার শেষে রয়েছে অসম্ভব অনুপ্রেরণাদায়ক কিছু উক্তি। বইটি আপনাকে অলীক বিশ্বাসকে সম্বল করে নিস্ফল আত্মবিশ্বাস যোগাবে না, বরং আপনি যৌক্তিকভাবেই উপলব্ধি করতে পারবেন আপনার অন্তর্নিহিত শক্তিকে। অমিত সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে সাজাতে এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে।
বই এর প্রথম কিছু পেইজ দেখে কি মনে হয়? কোন কবিতা? আমি আপনাকে দোষ দেব না। বই এর সূচীপত্র যে এমন অন্ত্যমিল নিয়ে লেখা যায় সেটা কে-ই আগে ভেবেছিল? ছাত্রজীবনে আমরা যতরকম সমস্যার সম্মুখীন হই, সব গুলোর কি সুন্দর সমাধান দেওয়া। যতক্ষণ বইটি পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল মাসুম ভাই এর উপদেশ গুলো যেন আবির-সুমনদের জন্য নয়, আমার জন্যই লেখা। লেখক খুব সুন্দর করেই আমার মনের মধ্যে যেই প্রশ্ন গুলো উঁকিঝুঁকি মারে সেগুলোকে আবির ও তার বন্ধুদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। আপনার মনে হবে এই মাসুম ভাই আপনার স্কুল/কলেজ কিংবা ডিপার্টমেন্টেরই বড় ভাই। বইটি অনেকটা মোটিভেশনাল হলেও এতে একটা গল্পের বই এর স্বাদ পাওয়া যাবে। কিছুক্ষণ পরপর একেকটা টুইস্ট, কিংবা এরপর আবির কিংবা তাঁর বন্ধুরা কি প্রশ্ন করে সেটা জানার জন্য একটা কৌতূহল বোধ করবেন। মাসুম ভাই চলে যাওয়ার পর আবিরের নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়ার গল্প গুলোতে আপনিও মনে মনে চাইবেন এবার নিজেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে। এক কথায় অনবদ্য এক বই। এমনে এমনে তোহ বইটি বেস্ট সেলার হয়নি। বইটি না পড়লে আসলেই মিস করবেন। নিজের ব্যাটারি ডাউন থাকলে, এবং যদি না জানেন কি করে তা রিচার্জ করতে হবে তবে বইটি আপনার জন্য। যারা জানেন তারাও বইটি পড়তে পারেন, কথা দিচ্ছি হতাশ হবেন না।
অনেক সময় হতাশা এমনভাবে চারিদিকে ঘিরে ধরে যে সেখান থেকে বের না হতে পারলে জীবনের অনেক সমস্যা তৈরী হয় এবং অনেক দরকারি সময় নষ্ট হয়।যা থেকে বের না হতে পারলে জীবনের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।কারন কিছু কাজ সময়ের মধ্যে করা লাগে।সময় চলে গেলে সেসব কাজ তখন কোন কাজে লাগে না।উদাহরণ হিসেবে যদি বলি ক্লাস নাইন,টেন এ যদি কেউ ঠিক মতো পড়ালেখা না করে তখন সময় চলে গেলে হাজার বার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হবে না।এসব হয় হতাশার জন্য।তাই হতাশা থেকে বের হওয়ার জন্য,আবার শক্তি পাওয়ার জন্য ঝংকার মাহবুব এই বইটি লিখেছে।বইটি এক কথায় অসাধার। দেশের লাখ লাখ তরুন যারা পিছিয়ে পরতেছে তাদের জন্য এই বইটি খুব দরকা। অনেকসময় একটু গাইডলাইন এর অভাবে হতাশা থেকে ঘুরে দাড়াতে পারে না।যা আসলেই নিজেরও ক্ষতি দেশেরও ক্ষতি।এই বইটির যেদিকটি সবাইকে আকর্ষণ করবে তা হলো এই বইয়ের ভাষা।আবির ও মাসুম ভাই দুইজন কথা বলছে।আবির তার সমস্যাগুলো মাসুম ভাইকে বলছে।মাসুম ভাই তার সমস্যা গুলো শুনে সমাধান দিয়ে যাচ্ছে।এই বইটিতে বলা হয়েছে আয়েশ আর অর্জন এক পথে চলে না।অপেক্ষা না করে অপশন ধরতে হবে,সাব্জেক্টে ক্যারিয়ারের জন্য বেরিয়ার হয় না,লেগে থাকাই অর্জন,ছেড়ে দিলে হেরে যাবে।এরকম আরও অনেক কিছু বলা হয়েছে।লেখক খুব সুন্দর করে প্রত্যেকটা বিষয় ব্যাখা করেছেন।লেখক এমন সব সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন যে গুলো সবারই হয়।বইটি পড়ে আমি অনেক মজা পেয়েছি।এর কারন হলো লেখক ভাবে বইটি লিখেছেন যে কেউ পড়লে মনে হবে যেন নিজের কোন পরিচিত ভাই আমার সামনে বসে আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে।মনেই হয়না আমি বসে বসে বই পড়ছি।বইটি পড়লে ভালো কিছু আইডিয়া পাওয়া যায়,সাহস পাওয়া যায়।যা আসলেই খুব দরকার যে কোনো হতাশাপূর্ন মানুষের জন্য।এই গুলো হতাশার সময় খুবই দরকার।এর কারন হলো যখন হতাশা হয়ে পরে মানুষ তখন ভালো কিছু আইডিয়ার জন্য দেখা যাইযে সে দাড়িয়ে উপরে উর্ঠে পারে না।তখন সে কিছু ভালো আইডিয়া পাওয়া গেলে হতাশা কাটিয়ে ভালো কিছু করা যায়।তখন এক ধরনের শক্তি দরকার।ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের লেখার ধরন সবথেকে বেশি আকর্ষণ করে বই পড়ার ক্ষেএে।মনেই হয়না কোনো বই পড়ছি।মনে হয় কোনো আড্ডা দিচ্ছি বড় ভাইয়ের সাথে।সে সময় নিজের কিছু সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে বড় ভাইয়ের সাথে।যাতে ভাই ভালো করে সমস্যা গুলো শুনে ভালো সমাধান দিতে পারে।আমার পড়ার সময় মনেই হয়নায় আমি বই পড়তেছি।লেখক এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন যেগুলো সবারই জানার উচিত।কারন হতাশাতে সবাই পরে।তাই বইটি সবারই পড়া উচিত বলে আমি মনে করি #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯
First they ignore you, then they laugh at you, then they fight you, then you win. উপরের কথাগুলো মহাত্মা গান্ধীর। আমি প্রথম পড়েছি রিচার্জ Your ডাউন ব্যাটারি বইয়ের উৎসর্গ পাতায়। ঝংকার মাহবুব ভাইয়ার এই বইটি পড়ে আমি প্রচন্ডরকম অনুপ্রাণিত হয়েছি। বইটি নিয়ে কিছুকথা না লিখলেই নয়। বইয়ের ধরনটা এমন, যে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। বড় ভাই ছোটভাইকে তুই বলেই সম্বোধন করে। যখনই ছোট ভাইটি কোন সমস্যায় পড়ছে, বড় ভাইয়া সে সমস্যাকে মোবাবেলা করার সাহস এবং উপায় দুই-ই বাতলে দিচ্ছেন। মোট চল্লিশটি চমৎকার লেখা বইটিতে ঠাঁই পেয়েছে। বইটির সূচিপত্রে দেখা মেলে লেখাগুলোর শিরোনাম জোড়া দিয়ে লেখা একটা চমৎকার ছড়ার। খাতাগুলোর শিরোনাম যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি লেখার ধরন। কোন কৃত্তিমতা নেই লেখায়, পড়তেও কোন সমস্যা হয় না। বইটির কোথাও কোন অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারনাও লেখক করেননি। দুটি চরিত্রের সংলাপের মধ্যে চিত্রিত করেছেন আমাদের সমস্যাগুলোকে, বাতলে দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর পথ। বইটি মেকি কথার ফুলঝুরি নয়, বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়ার পাঠ। প্রতিটি লেখার শেষে রয়েছে অসম্ভব অনুপ্রেরণাদায়ক কিছু উক্তি। বইটি আপনাকে অলীক বিশ্বাসকে সম্বল করে নিস্ফল আত্মবিশ্বাস যোগাবে না, বরং আপনি যৌক্তিকভাবেই উপলব্ধি করতে পারবেন আপনার অন্তর্নিহিত শক্তিকে। অমিত সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে সাজাতে এই বইটি আপনাকে সাহায্য করবে। আমাদের প্রজন্মের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জীবনই বহুবিধ সমস্যায় দিশেহারা। যারা ঘুরে দাঁড়াতে চায়, তাদের জন্য এই বই। যারা হারতে চায় না, তাদের জন্য এই বই। যারা হতাশ, ''আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না'' ধরনের কথা বলে তাদের জন্যও এই বই। সকলেই আপন শক্তিতে জ্বলে উঠুক, এই প্রত্যাশায় লেখা সমাপ্ত করছি। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
good book