জন্ম ১৩ জুলাই,১৯৮৬ বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে,বাবা ছিলেন শিক্ষক,মা গৃহিনী।বেড়ে উঠেছেন গ্রামের উন্মুক্ত আলোবাতাসে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড়।পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে বড় হয়েছেন।
স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন,স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে উজাড় করে দেন। মানুষের জন্য কিছু করতে পারাকেই নিজের সেরা অর্জন মনে করেন।স্রোতের বীপরীতে নিজেকে ভিন্নভাবে মেলে ধরতে পছন্দ করেন।
মানুষের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা থেকেই ২০০৪ সালে কলেজ পড়ুয়া বন্ধুদের নিয়ে শুরু করেন প্রিয়স্বপ্ন গ্রুপের কার্যক্রম যার মূলুমন্ত্র সেবার মাধ্যমে সমৃদ্ধি।পড়াশোনার চাপে অবশ্য সেসময় বেশী দূর এগুতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।খুব বেশ মনোযোগ দেন নিজেকে তইরি করায়।অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সেমিনার,সিম্পোজিয়াম ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। এরই মাঝে ২০০৭ সালে একটু অল্প বয়সেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান।জীবনে আসে নতুন মোড়।পারিবারিক সহযোগিতা না থাকায় একাই নিতে হয় নতুন সংসার এর দায়িত্ব।
ছোট্ট একটা কোচিং সেন্টার খুলে আয়ের ব্যবস্থা করেন।মাত্র ২২০০ টাকা আয়ের মধ্যে ১৪০০ টাকাই ছিল বাসা ভাড়া।বাকি ৮০০ টাকায় কিভবে চলবে দুজন এর পড়াশোনার খরচসহ সারা মাসের সংসার?মাত্র ২১ বছরের একটা তরুণ এর জন্য এটা ছিল কঠিনতম এক প্রশ্ন।
প্রচন্ড গরমে মাথার উপর ঝোলানোর মত একটা ফ্যান কেনার টাকা ছিল না।বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ধার করেছিলেন সেই ফ্যানও বেশীক্ষণ চালিয়ে রাখলে বাড়িওয়ালা কথা শোনাত।নিজের প্রতি প্রচন্ড আত্নবিশ্বাস আর ইতিবাচক মানসিকতা দিয়ে এই পরিস্থিতি জয় করেছেন,হয়ে উঠেছেন বাস্তব জীবনের নায়ক।
২০০৭ থেকে ২০১১ কাজ করেছেন দেশী বিদেশী নানা প্রতিষ্ঠানে,সমৃদ্ধ করেছেন অভিজ্ঞতার ঝুলি.২০১১ তে নিজের গড়া প্রিয়স্বপ্ন কে নিয়ে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেন.১ম দুই বছর এগিয়ে যান দারুণ গতিতে.৩য় বছরে ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হন।একে সব পার্টনাররা বিদায় নিতে থাকেন,২৭ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন টিকে ছিল।আর্থিক সমস্যায় ছেড়ে দিতে হয় অফিস।তবুও থেমে যায়নি স্বপ্নের পথের ্যাত্রা।পার্কের বেঞ্চে বসে,রাস্তায়,মাঠে,মসজিদের বারান্দায় বসে আকেন নতুন দিনের স্বপ্ন।২০১৪ সালের প্রচন্ড কষ্টের দিনগুলির উপরেই দাড়িয়ে আছে আজকের প্রিয়স্বপ্ন গ্রুপের ভিত্তি। ২০১৫-১০১৮ বদলে গেছে সবকিছু।
নিজের আর্থিক সমৃদ্ধির পাশাপশি ২ শতাধিক তরুন এর কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছেন প্রিয়স্বপ্ন গ্রুপ এর মাধ্যমে। ২২ জেলায় এখন ৪৫ টি অফিসের মাধ্যমে মানষকে সেবা দিয়ে জাচ্ছেন।এই পর্যন্ত ৩ শতাধিক লাইফ চেঞ্জিং সেমিনার করেছেন তরুনদের জীবন পরিবর্তন আনতে।এক সেশনে সর্বোচ্চ ৭ ঘন্টা কথা বলে রেকর্ড ও গড়েছেন।তার ভাষায়- অনেক বেশী কাটার আঘাত সহ্য করেছি বলেই এখন যেখানে যাই আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
কোচ কাঞ্চন। লেখক, উদ্যোক্তা ও হ্যাপিনেস কোচ। কেউ কেউ লেখার জন্য লেখেন, কিছু লেখক জীবনকে উপলব্ধি করে লেখেন। কোচ কাঞ্চন দ্বিতীয় জনরার লেখক; যিনি জীবনের কথা বলেন, জীবনকে নিয়ে ভাবার কথা বলেন। তার লেখনী প্রেরণা দেয়, আর সবচেয়ে বেশি দেয় বেঁচে থাকার এবং নিজেকে শত প্রতিকূলতা থেকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার শক্তি। অ্যাওয়ার্ড উইনিং উদ্যোক্তা, বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্গানিক ব্র্যান্ড ন্যাচারালস-এর ফাউন্ডার কোচ কাঞ্চন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিজনেসকে নিয়ে গেছেন বহির্বিশ্বে। বাংলাদেশি গ্লোবাল ব্র্যান্ড গড়ে তোলার মিশনে ছুটে চলেছেন দেশ-বিদেশে। তার ১৫ বছরের ব্যবসায়িক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত বই বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট। নিজের গল্প আর অভিজ্ঞতাকে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার দুঃসাহসিক প্রয়াস থেকেই লেখক হিসেবে আত্নপ্রকাশ। শুরুটা হয়েছিল ‘রিস্টার্ট ইয়োর লাইফ’ দিয়ে। পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অভিভূত সাড়া, ভালোবাসায় লেখকরূপে নিয়মিত হওয়া। তারপর লিখলেন মাস্টারিং ইয়োর লাইফ। ‘বিজনেস ব্লুপ্রিন্ট’ তার তৃতীয় বই। লিখে আনন্দ পান। সবচেয়ে তৃপ্তি পান যখন কেউ তার লেখায় অনুপ্রাণিত হন, লাইফে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হাতে নেন। কোচ কাঞ্চন বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা ও সুখ ভিতরে রাখতে নেই, তাকে ছড়িয়ে দিতে হয়। এতে সুখের অনুভূতি আরো দৃঢ় হয়।