(তরজমা) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় (অর্থাৎ সর্বক্ষণ) তার পবিত্রতা বর্ণনা করো। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪১-৪২)
আল্লাহর যিকিরের আসল উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ অন্তরে স্থায়ী হয়ে যাওয়া। আল্লাহ্ পাকের মহব্বত অন্তরে বদ্ধমূল হয়ে যাওয়া। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হওয়া। এ বিষয়টি অর্জনের সহজ উপায় হলো, ‘কাছরাতে যিকরুল্লাহ’ তথা অধিক পরিমাণে আল্লাহ্ তা‘আলার যিকির করা।
যেসব উপায়ে ‘কাছরাতে যিকরুল্লাহ’ তথা অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকর-এর লক্ষ হাসিল হয়, সেসব উপায়ের একটি হল, ‘আদইয়ায়ে মাছূরাহ’ পাঠের প্রতি গুরুত্বারোপ। হুযূর আকদাস সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড় চমৎকার এক উপায় শিক্ষা দিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা জীবনের যে ক্ষেত্র অতিক্রম করে থাকি, সেসবের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বহু দুআ নির্বাচন করে দিয়েছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলার নৈকট্য অর্জনের আরেক সহজ উপায় হলো, সকল অবস্থা ও কাজে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো আদব-কায়দার অনুসরণ ও অনুকরণ।
আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের বর্তমান কিতাব “রাওযাতুল আহবাব-প্রিয় নবীর ﷺ প্রিয় দু‘আ ও আদাব” উপরিউক্ত জরুরী বিষয় দুটি সম্পর্কেই রচিত।
আমাদের এ কিতাবের সংকলক হযরত মাওলানা আশেক ইলাহী বুলন্দশহরী, মুহাজিরে মাদানী রহ. আল্লাহ পাকের এমন নৈকট্যপ্রাপ্ত অলীদের একজন ছিলেন, দুনিয়ার মোহ যাঁদেরকে স্পর্শও করেনি। যাদের প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির পাবন্দ হয়ে আখেরাতের প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। তিনি ইলম ও ফযল, যুুহ্দ ও তাক্ওয়া, সরলতা ও বিনয়ে পূর্বসূরীদের স্মারক ছিলেন। আল্লাহপাক তাঁর দ্বারা ইলম ও দ্বীনের অনেক কাজ নিয়েছেন।
হযরত রহ. নিরেট ইলমী ব্যক্তিত্ব। তাছাড়া তিনি যখন স্থায়ীভাবে মদীনা মুনাওয়ারায় বসবাস আরম্ভ করলেন তখন তাঁর লেখা-জোখায় আরো বেশী মজবুতি ও সতর্কতা দেখা যায়। যার প্রমাণ এ কিতাবের প্রতিটি দু‘আ ও আদাবে পরিলক্ষিত হবে। ইনাশাআল্লাহ।