

রাসুল (সা.)-এর পদপ্রান্তে
পৃথিবীর দিকে দিকে আজ মানুষ উদ্ভ্রান্ত, দিশেহারা। কে দেবে বাঁচার মন্ত্র, সমস্যাসঙ্কুল পৃথিবীর ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রজলরাশির তরঙ্গে কে দেবে পথের দিশা? বিখ্যাত বিদ্যাপিঠগুলো ক্লান্ত ব্যর্থতার ভারে। ব্যর্থ হননি কেবল মহাআনন্দলোকের প্রশংসিত মহা পুরুষ মুহাম্মদ স.। প্রতিটি মুমিনের গৃহে এই নামটির বাস, বিশেষ করে, বাংলার প্রতিটি গ্রাম, বন্দর, শহর, নদীতীর থেকে যখন সহস্র ছোট ছোট ছেলেরা বেরিয়ে আসে নবীর নামের শিরনি তাদের ঠোঁটে। নবীর নামে মাহাত্ম্য পেয়েছে ভক্ত প্রাণের আকুলতায়। যেখানে ভক্তি নেই, সেখানে নামও বিশুস্ক প্রান্তর। আধুনিক সভ্যতায়ও রাসুল (স.) এর আদর্শকে তরুণ প্রজন্ম ধারণ করে প্রশান্ত হচ্ছে। এই মহামানবেরই জীবনিগ্রন্থ "রাসুল স. এর পদপ্রান্তে"। সংগীতের এক অনন্য পুরুষ মুস্তাফা জামান আব্বসী বইটি রচনা করেছেন। প্রচলিত ধারার বাইরে এসে সিরাতের এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে, নতুন ধারায়, নতুন ভাবে লেখক সিরাত চিনিয়েছেন। লেখক ফিরে গেছেন ইতিহাসে, অবগাহন করেছেন নবীর সেই সময়ের দেশ, যেটি ছিল মরুময়। যে দিকে চোখ যায় শুধু মরুভূমি, আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট গাছ, সেখানে উঠ চরিয়ে ফিরছে ছোট ছোট শিশুরা। সে দৃশ্য এখনো আছে, যদিও বদলে গেছে মক্কা মদিনা। মুস্তাফা জামান আব্বাসী নবীর পদপ্রান্তে পুরনো দিনের স্মৃতিতে অবগাহিত হয়েছেন। পুরনো গানে, পুরনো সুরে নতুন দিনে অনুভূতি এঁকেছেন। মদিনার পথে প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর যে সুখময় অনুভূতি হৃদয়কে দোলা দিয়ে যায়। সবুজ বাগানগুলো, যে কোন মানুষকে প্রেমে ফেলতে পারে। মক্কা নগরীর সেই চোদ্দোশ বছর আগেই যে আধুনিক হয়েছিল বইটিতে তেমনটি উঠে এসেছে। মুস্তাফা জামান আব্বাসী রাসুল স. এর পদপ্রান্তে গ্রন্থের প্রতিটি ছত্রে নবী প্রেমের সঙ্গে তাঁর পিতা-মাতা কিংবা পরিজনদের স্মৃতি মিশিয়ে দিয়েছেন। সিরাত গ্রন্থ হিসাবে এই বইটি ছোট হলেও এর পরিসর একদমই ছোট নয়। পড়তে পড়তে আপনিও হারিয়ে যাবেন মক্কা মদিনার একাল-সেকালে। নবীর সিরাতকে আরো শানিত করতে "রাসুল (স.) এর পদপ্রান্তে" পড়া দরকার। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯
SIMILAR BOOKS
