স্কুল-কলেজের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর সঙ্গে রসায়নের পরিচয় হয় নীরস এক বিজ্ঞান হিসেবে। পিটার অ্যাটকিনস এ বইয়ে অন্য এক রসায়নের গল্প শোনাতে চান। যে রসায়নের সঙ্গে মানুষের পরিচয় স্বর্ণ তৈরি ও অমরত্বের লোভ থেকে। যে রসায়নের হাত ধরে গড়ে উঠেছে জামাকাপড় থেকে শুরু করে খাদ্য উত্পাদন, পরিবহন, জ্বালানি এবং আমাদের আজকের বর্ণিল পৃথিবী। চলুন, সেই গল্পটা শুনি।
লোভ। স্বর্ণের কাছাকাছি পদার্থ থেকে স্বর্ণ তৈরি ও অমরত্বের লোভই মানুষকে রসায়নের সন্ধান দিয়েছিল। পরমাণু আবিষ্কার ও মৌলদের গায়ে সংখ্যা বসানোর মাধ্যমে সেই রসায়ন পরিণত হয় বিজ্ঞানে। ১৮৬৯ সালে দিমিত্রি মেন্ডেলিভ সবকিছুকে এক সুতায় গাঁথার প্রচেষ্টায় তৈরি করেন এক পৃষ্ঠার মৌলতালিকা—পর্যায় সারণি। কিন্তু বাস্তব জীবনে রসায়ন কী কাজে লাগে? আসলে প্রতিটি জীব একেকটি রাসায়নিক কারখানা। আপনার জামাকাপড় থেকে শুরু করে খাদ্য উত্পাদন, পরিবহন, জ্বালানি এবং আমাদের আজকের বর্ণিল পৃথিবী—প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহূত প্রতিটি বস্তুর পেছনেই রয়েছে রসায়নবিজ্ঞানের অবদান। স্কুল-কলেজে রসায়ন যাঁদের কাছে নীরস মনে হয়েছে, এ বই তাঁদেরকে রসায়নের ভিন্ন এক জগতের গল্প শোনাবে। পিটার অ্যাটকিনসের সহজ ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি আপনাকে নিয়ে যাবে রসায়নের গভীরে। যেখানে জীবন মিলেমিশে এক হয়ে যায় বিজ্ঞানচর্চার সঙ্গে। আশা করা যায়, বিজ্ঞানশিক্ষার্থী থেকে সাধারণ পাঠক সবার কাছে বইটি সমাদৃত হবে।