পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করছি অনেক বছর ধরে। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, তখন থেকেই শুরু। মাঝে লেখালেখি বন্ধ ছিল অনেক বছর। এখন নিয়মিত লেখার চেষ্টা করি। ২০১০ সাল থেকে লিখছি প্রথম আলাে পত্রিকায়। পত্রিকায় যা লিখি, সেগুলাে পরিচিতি পায় ‘কলাম’ হিসেবে। কলাম লেখক হব কখনাে ভাবিনি। তারপরও কেমন করে যেন হয়ে উঠলাম কলাম। লেখক। রাজনৈতিক দলগুলাে নিয়ে আমার কয়েকটি বই ছাপা হওয়ার পর কেউ কেউ ভেবেছেন, আমি বুঝি শুধু রাজনীতি নিয়েই লিখি। আসলে তা নয়। যখন যা মনে আসে বা অনুরােধ পাই, সেভাবেই লেখার চেষ্টা করি। তবে অনেক পাঠক আমার কাছে শুধু রাজনীতিবিষয়ক লেখা প্রত্যাশা করেন। কলাম লেখার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এক হাজার শব্দের মধ্যে লিখতে হয়। সবকিছু গুছিয়ে সব কথা বলা হয় না, বলা যায় না। সুতরাং কলামের মধ্যে কোনাে বিষয়ের সূত্রপাত হলে শেষ প্যারাগ্রাফে যে তার নিষ্পত্তি হবে, তা নয়। একেবারে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েই লেখা হয় কলাম। সময় পেরিয়ে গেলে তার প্রাসঙ্গিকতা থাকে না।
মহিউদ্দিন আহমদ
মহিউদ্দিন আহমদ জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশােনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠএ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তার লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা।