মওলানা ভাসানী ১৯৬৩ সালে চীন সফর শেষে ঢাকায় ফেরেন করাচি হয়ে। করাচির মেয়র তাঁর সম্মানে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। মওলানার পরনে চিরাচরিত লুঙ্গি আর সাদামাটা পাঞ্জাবি। মাথায় তালের টুপি। তিনি মঞ্চে উঠলেন। তাঁর বেশভূষা দেখে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গুঞ্জন, ‘ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়’! মওলানা কোরান থেকে পাঠ করে শুরু করলেন ভাষণ। দর্শকদের মধ্যে আবার গুঞ্জন, ‘ইয়ে তো মওলানা হ্যায়’! মওলানা ভাষণ শুরু করলেন বিশুদ্ধ উর্দুতে। এবার শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া, ‘আরে বাহ, ইয়ে তো পলিটিশিয়ান হ্যায়’! মওলানা ভাষণে বিশ্বপরিস্থিতি ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-নিপীড়নের কথা বলতে থাকলেন। এবার সবার বিস্ময়, ‘আল্লাহ, ইয়ে তো স্টেটসম্যান হ্যায়’!
মহিউদ্দিন আহমদ
মহিউদ্দিন আহমদ জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশােনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠএ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তার লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা।