নয় রাজ্যের রাজারা যখন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই সেই ভূমিতে আগমন ঘটে ড্যারন সিয়াসের। লোকে বলে, সে নাকি কোনো এক দেবতা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের প্রতিপালনই যার কাজ। ড্যারন অবশ্য কখনোই নিজেকে দেবতা দাবি করেনি, তবে সে এমন একটি কাজ করেছে যা হাজার বছরেও কেউ করতে পারেনি।
একে একে কলহপ্রিয় এই নয়টি রাজ্য জয় করে তৈরি করেছে একটি একক সাম্রাজ্য।
কিন্তু ড্যারনের মৃত্যুর পর আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিদ্রোহ। একে একে স্বাধীন হতে থাকে রাজ্যগুলো। এদিকে বর্তমানে ড্যারন রাজ্যের সিংহাসনে নতুন রাজা বসার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
আর যখনই আগুনের সিংহাসন নতুন অধিপতি দাবি করে, তখন তার হাত ধরে আসে রক্তপাত, যুদ্ধ আর নৃশংসতা।
এই গল্পে আরো উঠে এসেছে তরোয়ার নামক এক প্রাচীন গুপ্ত সংগঠনের কথা, যার নেতৃত্ব দেন প্রাচীন দেবতা খুমাসের প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ তরোয়ার। এদের একমাত্র লক্ষ্য সিয়াস বংশকে মিশকাওয়াতের বুক থেকে মুছে ফেলা।
আরো আছে সাইরাস রাজ্যের কথা, যার ক্ষমতায় আছে ছয়শো বছর ধরে অপরাজিত দ্রিমন বংশ।
আরো আছে অসহায় কিশোর অ্যারাইস, হরিয়াল বনের বাসিন্দারা আর এক রাজকুমারের গল্প।
বিদ্রোহীদের উত্থান-পতনের পাশাপাশি রহস্যময় এ জায়গায়, রাজকুমারদের ক্ষমতাবদল আর শক্তির উত্থানের সাক্ষী হতে পড়ুন 'রাজকাহন- প্রথম খন্ড'।
আমিনুল ইসলাম
আমিনুল ইসলাম (1943) কুমিল্লা শহর সংলগ্ন জামবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 1958 খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা এবং 1960 খ্রিস্টাব্দে আই.এ. পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং 1963 খ্রিস্টাব্দে বি. এ. অনার্স ও 1964 খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। 1973 খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্র ুজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. করেন। প্রফেসর ইসলাম 1965 খ্রিস্টাব্দের 1 মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিগত চার দশক ধরে অধ্যাপনাকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান, উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং কলা অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি। বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনার জন্য একজন লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাশ্চাত্য দর্শন, আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শন, সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শন, মুসলিম ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম দর্শন, বাঙালির দর্শন, নীতিবিজ্ঞান ও মানবজীবন।