গ্রামসভা থেকে আইনসভা, সর্বত্র আলোচনা-বিতর্কের পরিসর কমছে। বিতর্ক ছাড়াই একের পর এক আইন পাশ হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশন বা তথ্যের অধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানও দুর্বল হচ্ছে, তাই ক্ষমতাসীনের ইচ্ছায় রাশ টানা কঠিন হচ্ছে। কোনও এক আইন বা বিধি দেখিয়ে রাষ্ট্র সহজেই দুর্বলের প্রতি নিষ্করুণ হতে পারছে, সমাজের কোনও কোনও অংশও রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে প্রায় দুর্বৃত্তের মতো ব্যবহার করছে। আইনসিদ্ধ অনৈতিক নির্দেশের অজস্র দৃষ্টান্তের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতে হয়, কোন নীতির নিরিখে রাজধর্মে শ্রদ্ধাশীল শাসক আপন সিদ্ধান্তের নৈতিকতা-অনৈতিকতা বিচার করবেন? এই সময়ে শুশ্রূষাবাদ আমাদের মনোযোগ দাবি করে, কারণ 'বিধিপালনই নৈতিকতা' - এই অবস্থানের বিপরীতে এর স্থান। এই মত বলে, অন্যের প্রয়োজনের প্রতি সাড়া দেওয়ার কাজই নৈতিক কাজ।