ঢাকা অঞ্চলের ইতিহাসে ভাওয়ালগড় এক পরিচিত নাম। আর এই ভাওয়ালগড়ের ইতিহাসে ভাওয়াল সন্ন্যাস তথা রমেন্দ্র নারায়ণ রায় আজও এক কিংবদন্তি। চমকপ্রদ তাঁর জীবন। ভাওয়ালগড়ের বিখ্যাত জমিদার রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়। রহস্যজনকভাবে দার্জিলিং-এ তাঁর কথিত মৃত্য ঘটে। কিন্তু একদল নাগাসন্ন্যাসীর সহায়তায় তিনি আকস্মিকভাবে বেঁচে ওঠেন এবং সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। অবশেষে জড়িয়ে পড়েন ভাওয়াল ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত মামলায়। পরিশ্রমী গবেষক জয়নাল হোসেন যথেষ্ট তথ্য সমাবেশের সাহায্যে এ গ্রন্থে ভাওয়াল সন্ন্যাসের চাঞ্চল্যকর ও ঘটনাবহুল জীবন তুলে ধরার পাশাপাশি ভাওয়াল জমিদারির উত্থান, ক্রমবিকাশ এবং অবলুপ্তির কথা বলেছেন। আঞ্চলিক ইতিহাস অনুসন্ধান এবং ঐতিহাসিক চরিত্র বিশ্লেষণে রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগণা অতি গুরুত্বপূর্ণ এক গ্রন্থ।
জয়নাল হোসেন
জয়নাল হোসেন একজন কৃষিবিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগরের কুড়েরপাড় গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১১ই আগস্ট তাঁর জন্ম। পিতা তালেব হোসেন, মাতা মাফেজা খাতুন। বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি, শ্রীকাইল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৭ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালে থাইল্যান্ডের মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ নিউট্রিশন থেকে পুষ্টির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ সমিতির সদস্য। তাঁর রচিত বই: মুর্শিদাবাদ থেকে মধুপুর (২০০০), প্রমিত দৃষ্টিপাত (২০০১), সমুদ্রনন্দিনী কুতুবদিয়া: ইতিহাস ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত (২০০২), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মেঘের মায়াবী চোখ (২০০৭), রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৯), পুণ্যের ঘরে শূন্য দিয়ে: ব্যতিক্রমী আট (২০১২), ধীরাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রেম উপাখ্যান: মাথিনের কূপ (২০১২), মানবপুত্র গৌতম: ধর্ম ও জীবনাচার (২০১৩), উইলে চার টাকা দুই আনা: সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির (২০১৩), প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে (২০১৪) ।