কবীর চৌধুরী (১৯২৩-২০১২) একজন বরেণ্য সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ, যিনি ১৯২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ও সার্দান ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। দীর্ঘকাল ধরে অধ্যাপনা ও লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিশ্বসাহিত্য থেকে জীবনঘনিষ্ঠ উপাদান আমাদের সাহিত্যে সফলভাবে এনেছেন। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তাঁর লেখার মূল ক্ষেত্র ছিল বিশ্বনাটক, শিল্পকলা, সাহিত্য সমালোচনা এবং অনুবাদ। তিনি শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে পরিচিত।
আহমদ রফিক
প্রাবন্ধিক, কবি ও কলামিস্ট আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯) ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে পরিচিত, তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার শিক্ষাজীবন বারবার বিপর্যস্ত হয়। শিল্প ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, মূলত সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন এবং বর্তমানে সম্পূর্ণ সাহিত্যকর্মে সক্রিয়। তিনি রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমীর ফেলো এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জীবন সদস্য। তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে *শিল্প সংস্কৃতি জীবন* (১৯৫৮), *আরেক কালান্তরে* (১৯৭৭), *ভাষা আন্দোলন: ইতিহাস ও তাৎপর্য* (১৯৯১) এবং *রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প* (১৯৯৬) অন্তর্ভুক্ত। কবিতাগ্রন্থের মধ্যে *নির্বাসিত নায়ক* (১৯৯৬), *বাউল মাটিতে মন* (১৯৭০), *রক্তের নিসর্গে স্বদেশ* (১৯৭৯) উল্লেখযোগ্য। সাহিত্যক্ষেত্রে তার বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে একুশে পদক এবং কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি লাভ করেন।
আবদুশ শাকুর
Title :
রবীন্দ্র-স্মারক গ্রন্থমালা-কালেকশন -২ (৬৮ টি বই)