রবীন্দ্রনাথ ছিলেন হৃদয়ের দিক থেকে ভারতীয়, কিন্তু ভাবনার দিক থেকে কোনও বিশেষ জাতি-সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন না। সেখানে তিনি মানবতার মুখপাত্র। তাঁর এই দুই পরিচয় রেনেসাঁসের অসাধারণ কৃতিত্ব। উনিশ শতকের আগের যুগকে রবীন্দ্রনাথ ভাবতেন ‘অজগরনিদ্রা’র যুগ। বিদ্যাসাগরকে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন ‘যর্থাথ মানুষ’। বঙ্কিমচন্দ্রকে বলেছেন ‘তখনকার শিক্ষিতশ্রেষ্ঠ’। রবীন্দ্রনাথ পশ্চিমের সঙ্গে ভারতবর্ষের সেতুবন্ধন রচনা করতে চেয়েছিলেন। মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম জন্ম ২৫ ফেব্র“য়ারি ১৯৭২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে পিএইচ.ডি। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাপিডিয়ার সহকারী সম্পাদক। বর্তমানে বাংলা একাডেমীর সহকারী পরিচালক। গবেষণা গ্রন্থ : ‘অক্ষয়কুমার দত্ত ও উনিশ শতকের বাঙলা’। সম্পাদিত গ্রন্থ : ‘বিজ্ঞান-বুদ্ধি চর্চার অগ্রপথিক অক্ষয়কুমার দত্ত ও বাঙালি সমাজ’, ‘সংস্কৃতি-সাধক মোতাহের হোসেন চৌধুরী’, ‘কবি জসীম উদ্দীন’, ‘আবু সয়ীদ আইয়ুব স্মরণগ্রন্থ’, ‘লেখার শিল্প লেখকের সংকল্প’ ও ‘হুমায়ুন কবির-এর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’।