

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা
আমরা মুসলমানরা প্রায় নিজেদের পোশাক-আশাকে বেপারে দ্বিধায় থাকি।বুঝতে পারি না আসলে কি ধরনের পোশাক আমাদের পরা উচিৎ, কি পরলে কি ভাবে চলা ফেরা করলে আল্লাহ খুশি হবেন।এই বইটি তে এই সব নিয়েই সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছ। অনেকের কাছে হয়ত বইটি পড়ে ভালো নাও লাগতে পারে কিন্তু আমার বিশ্বাস যারা আল্লাহর পথে জীবন যাপন করতে চান তাদের অনেক ভালো লাগবে। খুব সহজ ভাষা তে বিষয় গুলো ব্যখ্যা আর উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলমান ভাইয়ের বইটি পড়ে তার পরিবারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়।
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা বইটি সময়োপযোগী অসাধারণ একটা বই। বর্তমানে পর্দা নিয়ে যে কত মতবাদ দেয়া হচ্ছে। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই এমন একটা বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকার আমাদের জন্য
পোশাক মানুষের মৌলিক চাহিদা। লজ্জাস্থান আবৃত রাখা এবং সুন্দর ও পরিপাটি থাকার চাহিদা মানুষের স্বভাবজাত। তদ্রূপ শীত-গ্রীষেমর প্রকোপ ও বাইরের ধুলোবালি থেকে শরীরকে রক্ষার জন্য তা একটি প্রয়োজনীয় আবরণ। তাই পোশাক আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। স্বভাগতভাবেই মানুষের মাঝে সতর ঢেকে রাখার প্রেরণা রয়েছে। স্বভাব ও রুচির বিকৃতি না ঘটলে এর বিপরীত হয় না। এরপরও শরীয়ত ‘সতর’ ঢাকাকে রুচি ও স্বভাবের উপর ছেড়ে দেয়নি, দ্বীনের অপরিহার্য বিধান বানিয়ে দিয়েছে। কারণ মানুষের স্বাভাবিক রুচি ও শালীনতাবোধকে সংরক্ষণ করার জন্যও সুনির্দিষ্ট নীতি ও নির্দেশনার প্রয়োজন। পোশাক শুধু বাইরের বিষয় নয়, তা মনের গতিবিধিকেও নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো পোশাক মানুষকে অহংকারী করে। কোনো পোশাক বিনয় দান করে। কোনটা উশৃঙ্খল হওয়ার উসকানি দেয় আর কোনটা করে শান্ত সমাহিত। হৃদয় ও আত্মার পবিত্রতা এবং বাহ্যিক আচার-আচরণেও পোশাকের প্রভাব অনস্বীকার্য। এজন্য ইসলামী শরীয়তে লেবাস-পোশাকের কিছু নীতি রয়েছে, যা অনুসরণ করে মানুষ পোশাকের কল্যাণ লাভ করতে পারে এবং পোশাকের অকল্যাণ থেকে রক্ষা পেতে পারে। বই - কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা
SIMILAR BOOKS
