কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা
প্রতিটি নর নারীর জীবনে পর্দা এমন একটি বাস্তব বিষয় যার বাস্তবতা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। কোন পরিবারের মানসিক ও সামাজিক স্থিশীলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে পর্দা প্রথা। পর্দা অস্বীকার করে কোন মানুষ তার চারিত্রিক গুণাবলী বিকাশ ঘটাতে পারে না। অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে শুরু করে নিজের শােয়ার রুম পর্যন্ত পর্দা একটি বিষেশ গুরুত্ব বহন করে।
“কোরআন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা” বইটির কিছু কথাঃ পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়। আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়। পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়।
প্রতিটি নর নারীর জীবনে পর্দা এমন একটি বাস্তব বিষয় যার বাস্তবতা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই,,।। অধ্যাপক কামাল মালাকার বলেন- সৌদী আরবের বেশীরভাগ মহিলাই পূর্ণ মুখঢাকা বোরখা পরিধানে অভ্যস্থ হওয়ায় তাদের মধ্যে ‘ইপস্টেইন বার ভাইরাস’- এ আক্রান্তের হার খুবই কম। এই ভাইরাস নাক ও গলায় ক্যান্সারের কারণ হিসেবে কাজ করে। সুতরাং পর্দার বিধান পালনে অভ্যস্ত নারীরা নিজেদের লাজুকতা ও শালীনতা রক্ষার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিপদের ঝুঁকি কমায় ।। পর্দা মানে স্ট্রেটকাট পর্দা। যে আবরণ মুসলিম নারীর শরীর সম্পূর্ণ আবৃত করে রাখবে। এখানে বর্তমানের মডিফাইড হিজাবের অনেক তর্ক বিতর্কই চলে আসতে পারে। আবার বিতর্কে উঠে আসতে পারে নারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কিংবা সংকীর্ণ মনোভাবের বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হল ইসলাম পর্দার বিধান দিয়েছে। শরীর ও মনের উভয়ের পর্দা যা নারীকে করে আরো সম্মানিত করে তোলে,,, যে স্থলে একজন নারীর দিকে খারাপ দৃষ্টি দিয়ে থাকালে কেয়ামতের দিন চোখে তপ্ত সীসা ঢালা হবে বলা হয়েছে সে ক্ষেত্রে ধর্ষণ তো বহু বহু দূরে। ইসলাম এ পর্দার গুরুত্ব অপরিসীম, কোরআনে শুধু নারীদের পর্দা করতে বলেনি। পুরুষদের দৃষ্টি ও হেফাজত করতে বলেছে। নতুবা কঠিন আজাবের কথা ও বলা হয়েছে। খারাপ দৃষ্টিতে দেখাকে চোখের জিনা (ব্যাভিচার) বলা হয়েছে। পর্দার পরিপূর্ণতা অবলম্বন করতে পারলে জান্নাত পাওয়া সহজ হয়। সমাজে ব্যবিচার ও খারাপ কাজ পদার কারনে কমে যায়, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা,,, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নারীদের হিজাব, “তারা (নারীরা) যেন বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে।” (সূরাহ্ আন্ নূর ২৪ : ৩১) “তোমরা (নারীরা) তোমাদের ঘরে অবস্থান কর, প্রাচীন মূর্খ যুগের মতো সাজ-সজ্জা করে বের হইও না। ” (সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩ : ৩৩) উল্লে¬খিত আয়াতদ্বয়ে মহান আল্ল¬াহ নারীদেরকে হিজাব পালন করা তথা তাদের দেহ ঢেকে রেখার পাশাপাশি বাইরে বেপর্দা হয়ে তথা উন্মুক্তভাবে সাজ-সজ্জা করে বের হতে নিষেধ করেছেন। অন্যথায় হিজাব না করার ক্ষতির কারণ বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় সহজেই প্রমাণিত হয়। যা নিম্নে তুলে ধরা হল : স্বাস্থ্যকে সুন্দরভাবে রক্ষার জন্য মাথা ঢেকে রাখা একান্ত জরুরী,, ইসলাম এ পর্দার গুরুত্ব অপরিসীম,,,,
ai boi pore Manusher vitor thake beria ase kutnoitik ka.