মানুষকে ‘জাসাদ’ এ পরিণত করতে দাজ্জাল প্রথম যে কৌশল প্রয়োগ করবে তা হল, প্ররোচনা দান করে মানুষের দ্বারা এমন পাপ সংঘটিত করবে যা তার অন্তরের নূরকে নিষ্প্রভ করে। ... দাজ্জালের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হল মানুষকে চিরস্থায়ী আখেরাতের জীবনের ওপর ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জীবনকে প্রধান্য প্রদানে বিশ্বাসী করে গড়ে তোলা। কুরআন কঠোরভাবে এ প্রকারের বিশ্বাসের বিরোধিতা করে। এ প্রকার মানুষ কুফরীতে আক্রান্ত হয়।
দাজ্জাল তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে মগজ-ধোলাই নীতি ব্যবহার করবে যেন মানুষ চিন্তা করে নিজের জন্য কল্যানের পথ বেছে নিতে অপারগ হয়। দাজ্জালের মগজ-ধোলাই এপর্যায়ের হবে যে সে মানুষকে চিন্তাভাবনার সুযোগ না দিয়ে চিন্তার জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ... তথাকথিত বিশ্বব্যবস্থার নাগরিকবৃন্দ এখন দাজ্জালের ইশারায় চলমান পুতুলে পরিণত হয়েছে। যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠী এ ইশারাকে অবহেলা বা এড়িয়ে যাচ্ছে তাকে বিভিন্ন নাম দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
পাঠকদের চিন্তাশীল অংশ বুঝতে পারবেন দাজ্জাল সৃষ্ট একরৈখিক বিশ্ব ব্যবস্থা কার্যক্রম কি পরিমাণ সফলতা অর্জন করেছে। যারা তাদের জীবনযাপনের সুবিধা হরণের আশংকায় চিন্তা ভাবনা করতে ইচ্ছুক নন। তারা জেনে রাখুন, দাজ্জাল হল বর্তমান আল্লাহ বিরোধী একমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার স্রষ্টা।