প্রোগ্রামিং শেখা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমনকি যারা পেশাদার প্রোগ্রামার, তাঁরাও কিন্তু তাঁদের ক্যারিয়ারে কাজ করার পাশাপাশি নিয়মিত নতুন নতুন জিনিস শেখেন। আর শিক্ষার্থীদের যে অল্প শিখে থেমে গেলে চলবে না, বরং অনেক কিছু শিখতে হবে, সেটি বলাই বাহুল্য। তাই আমার পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা বইগুলো যারা অনুসরণ করে প্রোগ্রামিং শিখছে, তাদের প্রোগ্রামিংয়ের পথে আরো এগিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বই লেখা।
বইটি লেখার পরিকল্পনা ছিল অনেক দিনের, এমনকি বইয়ের বিষয়বস্তু নির্বাচন করে রেখেছিলাম কয়েক বছর আগেই। কিন্তু কোনো এক কারণে লেখার গতি ছিল ধীর। তবে শেষ পর্যন্ত বইটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে ভেবে আমি তৃপ্তি পাচ্ছি। কারণ পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা সিরিজের আগের খণ্ডগুলোর সঙ্গে এই বইটি যারা অনুসরণ করবে, তারা প্রোগ্রামিংয়ের জগতে দৃপ্ত পদচারণা করতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।
বইটি লেখার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। তাঁদের মধ্যে যাঁদের নাম না বললেই নয়, তাঁরা হচ্ছেন তাহমিদ রাফি, আবু আশরাফ মাসনুন, আসিফ রইচ (প্রিন্স), আয়েশা রেজওয়ানা (টুম্পা) এবং মোশারফ হোসেন। তাঁদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আমি আরো ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পাঠকদের। তাঁদের উৎসাহ এই বই লেখার পেছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আশা করি, এই বই আরো অনেক সফল প্রোগ্রামার তৈরিতে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে, আর প্রোগ্রামিংয়ের জগতে পাঠকের নিরন্তর সাফল্য আমাকে প্রতিনিয়ত উদ্বেলিত করবে। সবার জন্য শুভকামনা।
তামিম শাহরিয়ার সুবিন
তামিম শাহরিয়ার (ডাকনাম: সুবিন)-এর জন্ম ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে। গ্রামের বাড়ি কুমিলা জেলার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে। তাঁর বাবা মাে: মােজাম্মেল হক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা ফেরদৌসি বেগম গৃহিণী। স্ত্রী সিরাজুম মুনিরা ও পুত্র আরাভ শাহরিয়ারকে নিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন।
লেখাপড়া করেছেন হােমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ কে উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ে। ২০০৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রােগ্রামিং প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে (২০০৭ ও ২০০৮ সালে) তিনি এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল-এর বিচারক ছিলেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেড ও দ্বিমিক কম্পিউটিং। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে একজন একাডেমিক কাউন্সিলর। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে গ্র্যাব নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।
Title :
পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা - ৪র্থ খণ্ড (পেপারব্যাক)