পুষ্পকুন্তলা। বিপ্লবী সূর্য সেনের জীবনসঙ্গিনী। ১৯১৯ সালে বিয়ের সময় পুষ্পকুন্তলা ১৬ বছরের তরুণী। বিয়ে হলো কিন্তু বাসররাত হয়ে উঠল বিচ্ছেদের রাত। কারণ বিপ্লবী তাঁর দলের কাছে ব্রহ্মচর্য অর্থাৎ মৈথুনবর্জিত জীবনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। সূর্য সেন তাঁর বাসররাতে পুষ্পকুন্তলাকে বললেন, তাঁর বিপ্লবী দলের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর জীবন স্ত্রীসঙ্গ-বর্জিত। চরম হতাশা গ্রাস করে এই তরুণীকে। বাসর রাতের দু-একদিন পরই চলে যান সূর্য সেন; বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে জেলে যান। তারপর পুষ্পকুন্তলার শুধুই স্বামীর প্রতীক্ষা! ৯ বছরের বিবাহিত জীবনে মাত্র তিনবার স্বামীর দেখা পান পুষ্পকুন্তলা, তিনবারই ব্যর্থ হন স্বামীর গভীর সাহচর্য থেকে। তরপরও স্বামীর বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তাঁকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করেছিল তাঁর সহযাত্রী হতে। টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর কোলে মাথা রেখে পুষ্পকুন্তলার মৃত্যু হয়।
আত্মকাহিনির আদলে মালেকা বেগমের লেখা এ বই আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট কালপর্বের চিত্র তুলে ধরেছে। পুষ্পকুন্তলার আত্মত্যাগের ঘটনা পাঠককে গভীরভাবে আপ্লুত করবে।