ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বাংলা বাউলগানের কিংবদন্তিত্যুল্য শিল্পী হিসেবে জীবদ্দশায় খ্যাতি পেয়েছিলেন শাহ আবদুল করিম। জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধলআশ্রম গ্রামে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী, মা নাইওরজান বিবি। ১৯৫৭ সাল থেকে উজানধল গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস। কাগমারী সম্মেলনে সংগতি পরিবেশন আর মৌলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্য তার জীবনের মধুরতম স্মৃতি। ২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘একুশের পদক’ প্রদান করে। তাঁর প্রকাশিত বই গুলো হচ্ছে : আফতাব সঙ্গীত, গণসঙ্গীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, ধলমেলা, কালনীর কূলে ও শাহ আবদুল করিম রচনাসমগ্র।
২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি দেহত্যাগ করেছেন। প্রয়াত এই সাধক ‘বাউলসম্রাট’ অভিধায় পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর জীবন ও সংগীত নিয়ে প্রসঙ্গ, শাহ আবুদল করিম গ্রন্থে মূল্যায়ন করেছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা নয় জন লেখক। সবমিলিয়ে করিম অনুরাগীদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।