আমেরিকা সফর ছিল একটা ব্যতিক্রমী সফর। নিউইয়র্ক, বাফেলো, নায়াগ্রা, মিশিগান, আটলান্টা, ফ্লোরিডা, লস এঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো, ডালাস, হিউস্টন এবং অস্টিনে হযরতের প্রোগ্রাম হয়েছে। পাশ্চাত্যের প্রসঙ্গ এলেই আমাদের সামনে এক ভিনড়ব ছবি ভেসে উঠে। সে ছবি জৌলুসের, প্রাচুর্যের আর অহমিকার। দ্বীনি কোন ভাবনা আসে না। আমেরিকা সম্পর্কেও একই রকম। অথচ সেখানে অনেক মুসলমান আছেন। তারা যথাসাধ্য ইসলামের অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। তারা দ্বীনের জন্যও খুব কাজ করছেন। তবে সেটা জৌলুস, প্রাচুর্য আর অহমিকার প্রভাবমুক্ত নয়। এখন ইন্টারনেটে তথ্য পাওয়া অনেক সহজ। আর এর উপর ভিত্তি করে মুসলমানদের জীবনও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে মারাত্মক। খাঁটি উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে দ্বীন না শেখাতে সমাজে ভিন্ন এক মুসলিম গোষ্ঠী গড়ে উঠছে। তাদের কাছে আল্লাহওয়ালা নতুন শব্দ। এ শ্রেণীর মানুষ অপরিচিত। পরিপূর্ণভাবে রাসূল (সাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করার আগ্রহ নেই। এরকম এক কঠিন সময়ে হযরত আমেরিকা সফর করেছেন। সে দেশের মানুষের কাছে তিনি এক আশ্চর্য প্রদীপ। যাকে সবাই ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছে। এ অনুভূতির কথাই সফরনামায় লেখার চেষ্টা করা হয়েছে।