প্রবৃত্তির অনুসরণ নিঃসন্দেহে মানুষকে কল্যাণকাজে বাধা দেয়। সৎকাজে বিমুখ করে। বিবেক-বুদ্ধি নাশ করে। কারণ, প্রবৃত্তির অনুসরণ মানুষের মাঝে মন্দ স্বভাব ও বদ আখলাক উৎপন্ন করে। মানুষকে মন্দ ও নোংরা কাজে উৎসাহিত করে। মানবতার বন্ধন দুর্বল ও ছিন্ন করে। অন্যায়-অপকর্মের পথ উন্মুক্ত করে।
প্রবৃত্তি ফেতনার বাহন আর দুনিয়া পরীক্ষার স্থান। অতএব, আপনি প্রবৃত্তি থেকে দূরে থাকুন, নিরাপদ থাকবেন। দুনিয়ার প্রতি বিমুখ হোন, লাভবান হবেন। দুনিয়ার আমোদ-প্রমোদ ও আনন্দ-উপভোগের বাহার দেখিয়ে নফস যেন আপনাকে ধোঁকায় না ফেলে। দুনিয়ার উন্মুক্ত সৌন্দর্য যেন আপনাকে প্রবঞ্চিত না করে। এ দুনিয়ার খেল-তামাশা একদিন শেষ হয়ে যাবে। যুগের বাহারী সৌন্দর্য এক সময় পুরোনো ও মলিন হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যে হারামে লিপ্ত হবেন এবং যে গুনাহ করবেন, তার দায় আপনার কাঁধে চিরকাল থেকে যাবে।
প্রবৃত্তি মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন। তাই প্রত্যেকের উচিত, অন্য যেকোনো দুশমনের তুলনায় প্রবৃত্তির মোকাবিলা আরও দৃঢ় ও মজবুতভাবে করা; তার বিরুদ্ধে সর্বদা লড়াই চালিয়ে যাওয়া।