জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই এপ্রিল, টাঙ্গাইলের মিরের বেতকা গ্রামের মাতুলালয়ে। তাঁর পিত্রালয় ওই একই জেলার দেলদুয়ারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও এমএ পাস করেছেন যথাক্রমে ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে। শিক্ষাজীবন শেষে অধ্যাপনা করেছেন করটিয়া’র সা’দত কলেজে, পরে সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও দৈনিক সংবাদ-এর। বার্তা সম্পাদক ছিলেন দৈনিক দিনকালের। ১৯৭৮-৮০ সালে ছিলেন গণচীনের রেডিও পিকিং-এর ভাষা-বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৫-২০০৪ সালে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক। বর্তমানে দৈনিক মানবজমিন-এর যুগ্ম সম্পাদক। সাযযাদ কাদির নেশায় কবি, পেশায় সাংবাদিক। কবিতা ছাড়াও লিখেছেন ছোটগল্প, নাটক। পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন ইতিহাস থেকে কল্পবিজ্ঞান পর্যন্ত অনেক বিচিত্র ও কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়ে। বিদেশের জনপ্রিয় উপন্যাস থেকে রসমধুর লোককাহিনী পর্যন্ত অনেক স্মরণীয় সাহিত্যসম্ভার তিনি উপহার দিয়েছেন পাঠক-পাঠিকাদের। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : আজব তবে গুজব নয়, ইউএফও: গ্রহান্তরের আগন্তুক, উপকথন, উপকথন আবারও, উপকথন আরও, উপকথন ফের, গল্পগাছা, তেপান্তর, বরিবল নামা, মনপবন, সবার সেরা, সাগরপার এবং রঙবাহার।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৬ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র,মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী,বঙ্কিমের পূর্বে তাঁর আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন। মৃত্যু : ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ ।