'প্রিয় প্রেয়সী নারী' নারী ছোট পোশাক পরে বাইরে বেরুলে সেটাকেই কি আমরা নারীমুক্তি বলবো? নারী পুরুষের সঙ্গে একই টেবিলে বসে কাজ করলে সেটাকেই আমরা নারী অধিকার বলে প্রসন্ন হবো? নারীকে প্রকা- প্রসাধন মাখিয়ে দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করলে তবেই কি সে পুরুষের সমান অধিকারী হয়েছে বলে ধরে নেবো? এ এক অদ্ভুত স্লোগান কাঁধে নিয়ে ঘুরছি আমরা। নারীর নারীত্বের অধিকারের কথা বলে তাকে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করছি পুরুষের ভোগ্যপণ্য হিসেবে। তাকে পণ্য বানিয়ে তুলে দেয়া হচ্ছে আধুনিক দাসবাজারে। দাসবাজারের নিলামে দরদাম হচ্ছে তার রূপ, শরীর, ত্বকের কমনীয়তা। মিডিয়া, শোবিজ, মডেলিং, পণ্যবাজার, বিউটি ইন্ড্রাস্ট্রি, সোস্যাল নেটওয়ার্ক, প্রতিযোগিতাময় পৃথিবী প্রতিদিন নারীকে ঠেলে দিচ্ছে পুরুষের কামনাতাড়িত চোখের সামনে। আধুনিক পৃথিবীতে এ এক নব্য দাসপ্রথা। বাস্তবতা কি এর থেকে ভিন্ন? ‘প্রিয় প্রেয়সী নারী’ গ্রন্থে সমাজ-চিন্তক লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর এমন সত্য বাস্তবতাকেই তুলের ধরার চেষ্টা করেছেন বারবার। এ কারণেই এ গ্রন্থ হয়ে উঠেছে সমাজের প্রত্যেক নারীকে একজন সত্যিকারের নারী হিসেবে সজ্জিত করার প্রেয়সী প্রয়াস। ইসলামের ঐশ্বরিক নির্দেশনায় নারীকে ভূষিত করা হয়েছে তার কাক্সিক্ষত উচ্চাসনে। তাকে দেখানো হয়েছে সত্যিকারের নারী অধিকারের সুরম্য রাজপথ।
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর-এর পাঠাগ্রহ মূলত ইতিহাস। ইতিহাসের রাজপথ যেমন, তেমনি অসংখ্য গলি-ঘুপচি চষে বেড়াতে ভালােবাসেন। তুলে আনতে চেষ্টা করেন ইতিহাসের আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া অন্য অনেক ইতিহাসকে।
আন্তর্জাতিক ধর্মদর্শন, লৌকিক-অলৌকিক ধর্ম এবং ধর্মতত্ত্ব বিষয়েও তাঁর আগ্রহ প্রবল। ঐশ্বরিক যে কোনাে জ্ঞান এবং মানবিক বিজ্ঞান তাঁকে। আলােড়িত করে। পাঠাগ্রহের কারণেই তিনি লিখেন মূলত ইতিহাস এবং ধর্মদর্শনের মিশেলে। প্রথাগত ধর্মীয় আবহের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন নতুন এক ভাষাভঙ্গি। সাবলীল, প্রাঞ্জল আর সাহসী গদ্য দিয়ে তিনি আমাদের চেনা চিত্রকে দৃশ্যমান করেন নতুন এক উপাখ্যানের আদলে। এটাই তাঁর বিশেষত্ব।
জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স শেষ করে কর্মজীবনে। সাংবাদিকতা এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বেশ কিছুদিন। বর্তমানে মুক্ত পৃথিবীর মানুষ হিসেবে একমাত্র কাজ-লেখালেখি। যা তিনি করতে ভালােবাসেন।