মারুফ একজন হকার। নিয়তির পরিহাসই বলতে হবে, তাকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়, একটি লাশ।
নিশোর স্ত্রী বদমেজাজি। এক রাতে ট্যাক্সিতে উঠে কিডন্যাপারের খপ্পরে পড়ে তারা। অস্ত্রের মুখে নিশোকে গাাড়ি থেকে নামিয়ে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে।
পকেটমার রিজু এক পথচারির মানিব্যাগে খুঁজে পায়, মাকে লেখা চিঠি। কোনদিনই দেখা হবে না এমন মায়ের জন্যে বুকটা মোচর দিয়ে ওঠে তার।
আরেক মা দুনিয়ার সমস্ত টাকা এক করে খুঁজে ফেরে ২০ বছর বয়েসী মৃত সন্তানকে।
সামান্য কানের দুল চেয়েছিল লতা তার প্রেমিকের কাছে। বান্ধবীর সাথে ধরা বাজি বদলে দিল তার গোটা জীবন ছক।
প্রিয় পাঠক, প্রেম, বিশ্বাস, অপ্রাপ্তির শ্বাসরুদ্ধ বাঁকগুলো আপনাকে চমকে দেবে। প্রবহমান কয়েকটি গল্পধারা বয়ে যায় সমান্তরাল। কিছু গল্প বলা ঠিক না। তবু কাগজের পাতায় তারা রক্তমাংসের হয়ে প্রিয় মানুষের গন্ধ খোঁজে।
শফিকুর রহমান শান্তনু
আমি শফিকুর রহমান শান্তনু। মা সাহিদা রহমান, বাবা মােঃ শামসুর রহমান খান। কাস এইটে পড়ার সময় অংক পরীক্ষায় একবার ১০০ তে ১২ পেয়েছিলাম। সেই দুঃখে সারারাত জেগে একটা গল্প লিখে ফেললাম। এক কিশাের বাড়ি থেকে পালিয়ে রেলস্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই হল গল্পের বিষয়। সেই থেকে শুরু। বাবা মা থেকে স্কুল শিক্ষক ও বন্ধুদের পিঠ চাপড়ে দেয়া লাই আমার এইম ইন লাইফ’ তৈরিতে সাহায্য করেছে। প্রেমের প্রস্তাব না পেলেও লেখার প্রস্তাব পেয়েছি কিছু তাই এনটিভিতে প্রচারিত ভালােবাসার উল্টো পিঠ, টার্মিনাল, সম্রাট, বাংলাভিশনের বাতিঘর, গপ্পো, পাল্টা হাওয়া, আরটিভির ধানশালিকের গাঁও, এটিএনবাংলার ছলে বলে কৌশলে, সােনার শেকল, বৈশাখীটিভির তখন হেমন্ত, একুশেটিভির থ্রি কমরেডস সহ টেলিভিশনের জন্যে প্রায় দুশাে নাটক, পত্রিকায় দুচারটা গল্প ও ব্যান্ডসঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, এসআই টুটুলসহ অনেকের গান লিখে আমি যখন লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলাম, আমার বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই বিষয়টাকে ভালাে চোখে নিল না! সেদিনই আমি প্রথম বুঝলাম, আজ কারাে চোখে যা ভালাে, কাল তারই চোখে তা খারাপ হতে পারে! শুনেছি, লেখক হলে বড় বড় কথা বলতে হয়। এখানেও আমি ধরা! বড় কথা বলতে গেলে সব কেমন যেন জট পাকিয়ে যায়। তখন মনে হয়, এই রাস্তা আমার নয়। আমার রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে।