ড. আয়েয আল কারনী— বিশ্ববরেণ্য ও পাঠকনন্দিত একজন তারকা লেখক। লেখায় ও বলায় তিনি সমান পারদর্শী। কিন্তু লেখায় তিনি যে বৈভিক বৈচিত্রের অবতারণা করেছেন— তা আমাদেরকে বারবার আপ্লুত করে। মুগ্ধ করে। ঠিকানা পাওয়ার স্বাদ ও তৃপ্তিতে আশ্বস্ত করে। দুঃখঘেরা পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়ে এই-যে তিনি মুসলিম-চেতনা-মানসকে লক্ষ্য করে বলে উঠেছেন— লা তাহযান—হতাশ হয়ো না!, জবাবে আমরা লক্ষ্য করেছি অগণিত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে— লাব্বাইক! হতাশা ও দুঃখ থেকে মুক্তি লাভের হে মহান সংবাদদাতা, আপনাকে ধন্যবাদ। লেখকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি বেছে বেছে লিখেন। শূন্যস্থান খুঁজে খুঁজে কলম ধরেন। সমাজ প্রয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু তাঁর লেখার কেন্দ্রবিন্দু। তাই আমরা লক্ষ্য করি; তাঁর একেকটি বই যেনো একেকটি গ্রন্থাগার। এভাবেই তাঁর লেখা বই হয়ে ওঠে— পাঠকনন্দিত, সুধীসমাদৃত। বিশ্বময় আলোড়ন সৃষ্টিকারী। জীবনের আসল রহস্য উদ্ঘাটনে শ্রেষ্ঠ পাথেয়। পুরুষের জন্যেও। নারীর জন্যেও। আমরা এখন যে বইটি পড়তে বসেছি এবার একটু নির্দিষ্ট করে তার কথা বলি। নাম— প্রিয় বোন! হতাশ হয়ো না । এ বিষয়ে আমার চোখে এমন—* অসাধারণ* কালজয়ী * মনকাড়া * অনুভবস্পর্শী * বিবেক জাগানিয়া * শিল্পশোভিত ও চারুতাপুষ্ট কিতাব— চোখে পড়ে নি। * কী সুসংহত এক শব্দচিত্র। * শব্দে শব্দে চুম্বক-আকর্ষণ।* পর্বে পর্বে অলঙ্কারের ঝলক চমক। * কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করে, নারী যদি চায়—* তার অতৃপ্ত আত্মাকে তৃপ্ত করতে,* অস্থির অশান্ত মনকে স্থির প্রশান্ত করতে,* জীবনের সকল কালোকে আলোয় বদলে দিতে,* মহাসৌভাগ্যের চিরকাঙ্ক্ষিত সবুজ ‘পৃথিবীতে’ পৌঁছে যেতে* এবং আনন্দময় সুখময় আখেরাতময় দাম্পত্য জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করত— * তাহলে কী করবে?* আমি বলবো, তাহলে তাকে পড়তে হবে— * প্রিয় বোন! হতাশ হয়ো না ।
আয়েয আল করনী
ড. আয়েয আল করনী ১৩৭৯ হিজরী মােতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ। নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অধ্যয়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়।
ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ। রচনা করেছেন। সেগুলাের মধ্যে আততাফসীরুল মুয়াসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান। বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
দীর্ঘ সাত বছর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীসের উপর অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে দাওয়াত ইলাল্লাহই তাঁর প্রধানতম কাজ।ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্যে লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তার বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।