ফ্ল্যাপ আর কতকাল ভালোবাসাহীন হৃদয়টা শূন্য হয়ে থাকবে? আমার যে প্রেমে পড়ার ভীষণ ইচ্ছা করে। ক্যাম্পাসে শত শত মেয়ে দেখি প্রতিদিন। দরকার নেই শত শত মেয়ের আমার। আমার প্রয়োজন একজনকে। মাঝে মাঝে মনে হয় প্রতিটি মেয়েকে একটি করে গোলাপ ফুল দিই। এর মধ্যে থেকে যদি কেউ একজন আমার মনের কথা বুঝতে পেরে করুণা করে হলেও ভালোবাসত। তাহলে তো এ জীবনে আর কিছু চাওয়ার ছিল না আমার। ক্যাম্পাসের চারদিকে শুধু প্রেমের দাও আর নাও। আমি বলি, কেউ একজন আমাকে প্রেম দাও-ভালোবাসা দাও। আমার মনের চিরসঙ্গী হও। আমার হৃদয়ের শূন্যতা পূরণ করো। কিন্তু কে শুনবে আমার একাকী হৃদয়ের ক্রন্দন। শূন্য হৃদয়ে ভালোবাসার সেই ফুল ফুটবে কবে। ফুল বাগানের সেই ফুলপরিটির জন্য আজও হৃদয়ের ভালোবাসার জানালা খুলে বসে আছি। আর কত কাল একা থাকব, চাঁদ একা, সূর্য একা, গোলাকার এই পৃথিবীটা একা, তোমার অপেক্ষায় আমিও বড় একা।
রণজিৎ সরকার
জন্ম ২৯ বৈশাখ, ১২ মে ১৯৮৪, মঙ্গলবার। বাবা নারায়ণ সরকার, মা শােভা সরকার। পিতৃভূমি সিরাজগঞ্জ নাইন থেকে ডেবিট-ক্রেডিট পড়তে পড়তে হিসাববিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স। তিনি রায়গঞ্জ উপজেলার সরাইদহ গ্রামে দাদু, মা আর বাবার কাছ থেকে অ আ, ক খ গ, a b c d এবং ১ ২ ৩ ৪ ৫... শেখা । ক্লাস লােভেই ছােটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু...। লেখালেখির নেশা থেকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত আছেন। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ছােটকাগজ, অনলাইনে। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্স ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে প্রুফ সংশােধন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স করার সুযােগে খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। প্রথম গল্পের বই স্কুল ছুটির পর ২০১২ সালের বইমেলায় প্রকাশ হলে ব্যাপক সাড়া পায়। প্রথম বই হিসেবে যতটুকু সাফল্য পাওয়া দরকার সাফল্য পেয়েছিলেন তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা গল্প-উপন্যাস মিলে।