ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ লেখকমাত্রই আসলে কালো হরফে তার কল্পনার ছবি আঁকেন। চিত্রনাট্য লেখকও তাই। বরং এক হিসেবে চিত্রনাট্যূ বা স্ক্রিপ্টকে এই কল্পনার ছবি আঁকার অগ্রসর রূপ বলা যেতে পারে। স্থান -কাল-পাত্রের বর্ণনা আর সংলাপ সহযোগে চিত্রনাট্য আসলে লেখকের মনের চোখে দেখা ছবিটাকেই স্পষ্টতর করে তোলে।
বাইরের পোশাকি রূপটা বাদ দিলে চিত্রনাট্য আর উপন্যাসের মধ্যে খূব বেশি তফাত থাকার কথা নয়। যারা গল্প বা উপন্যাস প্রিয় পাঠক তারা শুধু দৃশ্য নম্বর আর টুকিটাকি কারিগরি শব্দাবলি ভুলে যান। দেখবেন এই চিত্রনাট্যের চরিত্ররাও কেমন উপন্যাসের মানুষদের মতো আপনার অন্তরের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। দেখবেন, কীভাবে চিত্রনাট্যও হয়ে ওঠে প্রিয় এক উপন্যাসের মতোই সুখপাঠ্য।
ভূমিকা সিনেমার দুনিয়ায় পরিচালক অসাধারণ ক্ষমতাবান একজন। সিনেমার পৃথিবী আবর্তিত হয় তার আঙুলের ইশারায়। তিনি যখন বলেন বৃষ্টি হবে, তখন ঝুম বৃষ্টি নামে। তিনি চাইল,মহানায়ক বাঁচবে।
নইলে এমনকি মহানায়কেরও নিস্তার নেই । তিনি চাইলেন নায়ক-নায়িকার মিলন। নইলে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। একজন নির্মাতার ক্ষমতা আসলে এমনই। আমার অল্পস্বল্প টিভি নাটক লেখার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি কথাগুলো খুব মিথ্যে নয়। চিত্রনাট্যকার হয়তো লেখার ছকটা খুব ভালোবাসে এঁকে দিতে পারেন। কিন্তু মাঠে গিয়ে মূল খেলাটা আসলে খেলবেন নির্মাতা আর তাঁর কুশলবেরাই। ছয়টি প্রেমের চিত্রনাট্য নিয়ে এই । এই ছয়টি চিত্রনাট্য থেকে তৈরি নাটক বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত হয়েছে টেলিভিশনে। আগেভাগে বলে রাখি, চিত্রনাট্যের সঙ্গে কেউ যদি নাটক পুরোপুরি মিলিয়ে দেখতে যান, হোঁচট খাবেন নিশ্চিত।
কৃজ্ঞতা কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের কাছে । প্রেম এসে যাচ্ছে নাটকের নামাটি নেওয়া হয়েছিল তাঁর কবিতা থেকে। সেখান থেকেই বইয়ের নাম। একটি গতানুগতিক প্রেমের গল্প-এর মূল ভাবনা এবং চিত্রনাট্যের কিয়দংশ নির্মাতা অমিভাত রেজার লেখা। ‘বৃষ্টির ঘ্রাণ’ এর মূল ভাবনা বন্ধু অনিকেত আলামের। বিশেষ কৃতজ্ঞতা অভিনেতা-নির্মাতা মাহফুজ আহমেদ ও চিত্রনির্মাতা রেদওয়ান রনির কাছে।
তারা আগ্রহ ছিলেন বলেই এই চিত্রনাট্যগুলো টেলিভিশন অবধি পৌঁছাতে পেরেছে। নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনকে ধন্যবাদের চেয়েও বেশি কিছু। খুব কম সময়ের মধ্যে অসাধারণ একটি প্রচ্ছদ সুমন তৈরি করেছেন।একাধারে চিত্রশিল্পী, গায়ক এবং নির্মাতা সুমন জানিয়েছেন, এটিই তাঁর জীবনের প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদ! ইকবার হোসাইন চৌধুরী