ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বিশাল রোমক বাহিনী মুসলিমদের ওপর সংগোপনে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সারা পৃথিবীতে তৈরি করতে চাচ্ছে ত্রাশের রাজত্ব। অতর্কিত হামলা করে শেষ করতে চাচ্ছে মুসলিমদের নাম ও নিশানা। এদিকে গোপন সংবাদ গোপন থাকল না; নবীজির কাছে পৌঁছে গেল সংবাদ। তারই ভিত্তিতে তিনি নিজ নেতৃত্বে বাহিনী নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন প্রতিরোধে; কিন্তু কিছু মুনাফিকের সাথে অপ্রত্যাশিতভাবে পেছনে পড়লেন কয়েকজন গুড মুসলিমও। কী হবে এরপর?
উপরে আগুন ঝরানো সূর্য, নিচে কয়লা-আগুনে বালু, এরই মাঝখানে বুকের ওপর পাথরচাপা নিয়ে কাতরাচ্ছেন বিলাল। আহাদ! আহাদ! প্রাণবায়ু বের হয়ে যায় যায় বিলালের; তবুও সাহায্য তো দূরের, চোখ তুলে সেদিকে তাকানোর সাহসও ছিল না কারও। কিন্তু সেই বিলাল-ই একদিন অসংখ্য গাছ, রঙবেরঙের ফুল, পাখির কিচিরমিচির—নদীনালা-খালবিল, বৃষ্টিভরা—দিমাশকের মসনদে বসে বলছেন তারই জীবনের গল্প..কেমন ছিল সেই গল্প?
পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন নবীজি। অন্তিম সফরের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। দলে দলে লোক আসছে। দেখছে। ডুকরে কেঁদে উঠছে। কারও বুক ভাঙছে চাপা কান্নায়। কারও আর্তনাদে। একদল সাহাবি প্রায় উন্মাদের মতো হয়ে গেছেন। কী হয়েছিল নবীজির জীবনের শেষ কিছুদিনে? নবীজির পরে এই উম্মাহকে কে সামলাবেন? কে হাল ধরবেন এই উম্মাহর?
তিনটি টান টান উত্তেজনা এবং অসম্ভব মায়ায় জড়ানো তিনটি গল্পের দাস্তান হলো প্রায়শ্চিত্ত। প্রায়শ্চিত্তের রুক্ষ, অথচ মায়াবী জগদে আপনাকে স্বাগত..