ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসকের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে একজন চিকিৎসকের পক্ষে একই সময়ে অনেক রোগীর সেবা প্রদানও সম্ভব নয়। আবার অনেকে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ না করা পর্যন্ত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। এ কথা সত্যি যে, আমাদের দেশের বিশেষ করে গ্রামের জনসাধারণের এখনো চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হয় পল্লী চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্শীর ওপর। এমবিবিএস কিংবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রামে এখনো খুবই অপ্রতুল। পল্লী চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী যে সেবা প্রদান করবেন, সত্যিকার অর্থে বাংলাভাষার সহজবোধ্য তেমন চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ নেই। এসব বিবেচনা করে রচিত হয়েছে, `Primary Health Tips প্রাইমারি চিকিৎসা সহায়িকা’ নামক গ্রন্থটি। এটি একদিকে যেমন পল্লী চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য অবশ্য পাঠ্য বই, অন্যদিকে সাধঅরণ পাঠকও এ বই পড়ে উপকৃত হবেন। বিভিন্ন রোগ এবং তার চিকিৎা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।
ভূমিকা স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসকের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে একজন চিকিৎসকের পক্ষে একই সময়ে নেক রোগীর সেবা প্রদানও সম্ভব নয়। আবার অনেকে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ না করা পর্যন্ত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। এ কথা সত্য যে আমাদের দেশের বিশেষ করে গ্রামের জনসাধারনের এখনো চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হয় পল্লী চিকিৎসক গ্রামে এখনো খুবই অপ্রতুল। পল্লী চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী যে সেবা প্রদান করবেন, সত্যিকার অর্তে বাংলাভাষায় সহজবোধ্য তেমন চিকিসা বিষয়ক গ্রন্থ নেই। এসব বিবেচনা করে রচিত হয়েছে, ‘Primary Health Tips প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়িকা’ নামক গ্রন্থটি। এই একদিকে যেমন পল্লী চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য অবশ্য পাঠ্য বই, অন্যদিকে সাধারণ পাঠকও এ বই পড়ে উপকৃত হবেন। বিভিন্ন রোগ এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।
আমি চেষ্টা করেছি বইটিকে সহজ ভাষায় লিখতে। অনেক ইংরেজি রয়েছে যার বাংলা পরিভাষা নেই, আবার কিছু বাংলা পরিভাষা থাকলেও সেগুলো দুর্বোধ্য। যেসব বাংলা পরিভাষা পাঠকের জন্য কঠিন বলে মনে হয়েছে সে সবের পাশে ইংরেজি শব্দটাও রাখা হয়েছে যাতে পাঠক সর্বোত্তমভাবে সাহায্য পেতে পারেন। বইটি পরিবারে সংগ্রহ করে রাখার মতোই। ধন্যবাদ।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযােদ্ধা অধ্যক্ষ মােস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তিনি থােরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে । সায়েন্সফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর । অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতােমধ্যে তার বেশ কিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায়। প্রথম দীর্ঘ সায়েন্সফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ শিরােনামের এই সায়েন্সফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন। আনােয়ারা-নূর পুরস্কার। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলাে ব্যাপকভাবে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।