"পথ চলাতেই আনন্দ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘পথ চলাতেই আনন্দ’ ১৫টি প্রবন্ধের সংকলন। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ স্মারক বক্তৃতা।
সেলিনা হােসেন প্রবন্ধের মননশীল ব্যাখা ও যুক্তিকে অনায়াসে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করেছেন। সূচিপত্র দেখেই বইয়ের প্রবন্ধের বৈচিত্র্যময় দিকটি বােঝা যায়। একটির সঙ্গে আর একটির দূরত্ব অনেক। বিষয় বিন্যাসে এবং বিশ্লেষণের তীব্রতায় তিনি। প্রবন্ধের ভিন্ন আমেজ তৈরি করেছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায় ভিন্নধর্মী লেখার সংকলন এই বই।
সেলিনা হােসেন গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি প্রবন্ধ লেখেন। তাঁর প্রবন্ধ সৃজনশীল মাত্রার বড় পরিসর তৈরি করে। ফিরে দেখার সুযােগ হয়। চিন্তার ভেতরে ভিন্ন চিন্তা জাগায়।
আমাদের বিশ্বাস সেলিনা হােসেনের এই প্রবন্ধের বই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, যিনি ১৪ জুন ১৯৪৭ তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এ কে মোশাররফ হোসেন ছিলেন রেশমশিল্প কারখানার পরিচালক এবং মাতা মরিয়মন্নেসা বকুল। ষাটের দশকের মধ্যভাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ে লেখালেখির শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ "উৎস" ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। সেলিনা হোসেনের লেখালেখির কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য, এবং তিনি বাংলার লোক-পুরাণের চরিত্রসমূহকে নতুনভাবে তুলে এনেছেন। তাঁর উপন্যাসে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে। সাহিত্যে তাঁর পরিচিতি শুধু কথাসাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রবন্ধেও তিনি শক্তিশালী ও শাণিত গদ্য নির্মাণে দক্ষ।