*দ্বিতীয় অধ্যায় : পরিবেশের সজীব উপাদান * প্রথম প্রসঙ্গ : বায়ুমণ্ডল ও বায়ু * দ্বিতীয় প্রসঙ্গ : অশ্বমণ্ডল ও মাটি * তৃতীয় প্রসঙ্গ : বারিমণ্ডল ও পানি
* তৃতীয় অধ্যায় : পরিবেশের উপাদান * প্রথম প্রসঙ্গ : জীব ও জীবন * দ্বিতীয় প্রসঙ্গ : উদ্ভিদজগৎ * তৃতীয় প্রসঙ্গ :প্রণিজগৎ
মুখবন্ধ আমরা আজ বাস করছি বিজ্ঞানের জগতে। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে বিজ্ঞানের নানা উপকরণ। আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনযাত্রার যে ধারা তা আজ বদলে গেছে দারুণভাবে।
মানুষের সভ্যতা কয়েক হাজার বছরের পুরনো। কিন্তু মাত্র একশ বছর আগেও উড়োজাহাজ, চলচ্চিত্র, বেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, সেটেলাইট-এর মতো বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উপকরণগুলোর কোন অস্তিত্ব ছিল না। দুনিয়ার নানা দেশের মানুষের মধ্যে যোগযোগ ছির অতি দুরূহ। সে তুলনায় আজ অবস্থা অনেক বদলে গেছে। আশ্চর্য উন্নতি ঘটেছে যোগযোগের। রকেটে চড়ে মানুষ পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে মহাশূন্যে। নেমেছে চাঁদেও। মানুষ অধিকাংম রোগব্যধিকেই করেছে জয়। আধুনিক কৃষিবিদ্যার ফলে খাদ্য উৎপাদনে এসেছে অসামান্য সাফল্য। পারমাণবিক শক্তির সহায়তায় উৎপাদনের প্রাচুর্য ঘটিয়ে সারা দুনিয়ার মানুষের দুঃখ দারিদ্র মোচনের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্যই সম্ভব হয়েছে এসব পরিবর্তন।
বিজ্ঞানের এতসব জয়-জয়গান চারদিকে শোনা যাচ্ছে ঠিক কিন্তু যেখান থেকে এসব নিয়ে গবেষণা, আলোচনা ও পর্যালোচনা চলছে তার নাম পরিবেশ। অর্থাৎ আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সবগুলোকে সমষ্টিগতভাবে বলা হয় পরিবেশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে আমাদের এই প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ও সামগ্রিক অবস্থা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে ঠিক কিন্তু তার মৌল প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- মাটি, পানি ও বায়ুর সাথে আছে বিশাল জীবজগৎ (উদ্ভিদ ও প্রাণী)। এগুলো পরিবর্তিত হোক আর চলমান হোক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে বহাল তরিয়াতে অবস্থান করছে আমাদের এই প্রিয় বসুন্ধরায়।
আমাদের প্রকৃতির এই বিচিত্র লীলাভূমি সম্বন্ধে মানবসমাজকে তথা তরুণ সমাজকে অবহিত করার ন্যূনতম প্রচেষ্টাই হল আমাদের পরিবেশবিজ্ঞান রচনার মূল উদ্দেশ্য। নতুন প্রজন্মের উপকারে যদি এ বই সামান্য অবদানও রাখে, তবে আমাদের এ পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।
পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হয় বিজ্ঞানের কাছে। তাই আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যাঁরা মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা করার ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন। এঁরা হলেন- বিজ্ঞানী আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, অমরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, গৌতম পাল, গাজী আজমল, গাজী আবদুল কাদের, মমিন মিয়া, তরিকুল ইষলাম প্রমুখ।
এ বইখানি সংকলন করতে যাঁরা উপদেশ, সহায়তা, তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে মানোন্নয়নে সহায়তা করেছেন তাঁরা হলেন শ্রদ্ধেয় ডাঃ শফিকুর রহমান, সেলিম আখতার, মতিন রায়হান, সাফায়েত হোসেন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন শ্রদ্ধেয় জামাল, রেজা, রুমা ও জাকির ভাই। সর্বোপরি কৃতজ্ঞ এ বইটির প্রকাশক তাহমিমা আরজু-এর কাছে, যিনি সহায়তা না দিলে এটি প্রকাশ করা সম্ভব হতো কিনা সন্দেহ।