পরীদের পাঠশালা গল্পে সেতু নামে এক ছোট্ট মেয়ে স্কুলে যেতে খুব পছন্দ করে।বর্ষাকালে ঝুম বৃষ্টি হলেই তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।এমনি এক বৃষ্টির দিনে সে মনখারাপ করে বসেছিল ঠিক ঐ সময় সেতুর বাসার সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো ভালো পরী। সেতুর মন খারাপ দেখে ভালো পরী তার ডানায় করে সেতুকে তার স্কুলে পৌঁছে দেয়।স্কুলে পৌঁছার পরে তারা দেখলো বৃষ্টিজনিত কারণে স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে।এই সুযোগে ভালো পরী সেতুকে তার ডানায় করে পরীদের পাঠশালায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সেতু পরীদের পাঠশালায় গেস্ট টিচার হয়ে সকল পরীদের বিভিন্ন নৈতিক বিষয়ে জ্ঞান দিতে থাকে।সেতুর কথা শুনে দুষ্টু পরীরাও ভালো পরীতে পরিণত হয়।সেতুর জ্ঞানমূলক কথা শুনে খুশি হয়ে পরী রাণী তাকে যাদুর বই উপহার দেয়।যাদুর বই পেয়ে সেতুতো মহা খুশি।যাদুর বই স্পর্শ করে যে বইয়ের নাম বলবে সেটাই তার সামনে হাজির হবে।সেতু ভীষণ বই পড়তে পছন্দ করে। পরীদের পাঠশালায় আরও কি কি মজার ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি।
যেহেতু পেশায় আমি শিক্ষক তাই গল্পে গল্পে শেখানোর প্রয়াস থাকে সব বইতেই।এই বইটিতেও আমার ক্ষুদে পাঠকরা অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবে। পরীদের পাঠশালায় নিয়ে গিয়ে শিশুদের আনন্দের মাধ্যমে কিছু শেখানোর চেষ্টা চলেছে বইটিতে।
আমার বিশ্বাস আমার ক্ষুদে পাঠকদের বইটি ভীষণ ভালো লাগবে। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
খায়রুননেসা রিমি
শিক্ষক,সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রেসিডেন্ট অফ স্বপ্ন পূরণ বিডি গ্রুপ।