তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর লেখায় বিশেষভাবে পাওয়া যায়। বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বােষ্টম, বাউরি, ডােম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছােট বা বড় যে ধরনের মানুষই হােক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম-জীবনের ভাঙনের কথা, নগর-জীবনের বিকাশের কথা। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
তারাপ্রণব ব্রহ্মচারী
তারাপদ রায়
তারাপদ রায়ের জন্ম নভেম্বর ১৯৩৬, বাংলাদেশের টাঙাইলে। শিক্ষা : প্রথমে বাংলাদেশে, পরে ১৯৫১ সালে কলকাতায় কলেজে পড়তে আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন, তারপর সরকারি চাকরি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে।
কবিতা লিখেছেন নাবালক বয়স থেকে। অদ্যাবধি প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা সহস্রাধিক। সম্পাদনা করেছেন ‘পূর্বমেঘ’ ও ‘কয়েকজন নামের দুটি লিটল ম্যাগাজিন। কবিতার পাশাপাশি রম্যরচনা লিখেছেন অজস্র, সঙ্গে গল্প, ছােট উপন্যাস, শিশুসাহিত্য।