প্ল্যানচেট মৃত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের প্রাচীন পদ্ধতি। আঠারো দশক থেকেই প্ল্যানচেট পদ্ধতি নিয়ে চলছে গবেষণা। ১৮৫৩ সালে অ্যালান কারডেক নামক এক ফরাসি ব্যক্তি সর্বপ্রম আত্মাকে আহবানের উপায় আবিষ্কার করেন। এরপর আত্মা নিয়ে বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট কৌতূহল ও গবেষণাও চলেছে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত প্রফেসর হেনরি সি জুইক ১৮৮২ সালে আত্মিক সমিতির সভাপতি হয়ে সমিতি গঠন করেন। তাঁর সহযোগীরা ও সহকারীরা প্রত্যেকেই ছিলেন তাঁরই মতো বিখ্যাত। তৎকালীন সময়ের ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আর্থার জে বেলফোরও ছিলেন তাঁর সাথে। পরবর্তী সময়ে মৃত আত্মাদের সাথে যোগাযোগের এই প্ল্যানচেট পদ্ধতির চর্চা ছড়িয়ে পড়েছে।
তিন বোনের প্ল্যানচেট পদ্ধতির আহ্বানে প্রথম সাড়া দেয় দুষ্ট প্রকৃতির আত্মা, যার উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় চরিত্র ও তার সহযোগীদের অনিষ্ট করা। পরবর্তী সময়ে যে সাড়া দেয় সে একজন পবিত্র আত্মা। জীবদ্দশায় সে বিদ্বেষ ও শত্রুতার শিকার হয়েছিল। তাকে বহন করতে হয়েছিল অপবাদ ও অপমানের বোঝা। অপরাধীরা তার চরিত্রে কালিমা লেপন করেও ক্ষান্ত হয়নি, তাকে কপটতার আশ্রয় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সমাজের চোখে সে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হলেও, প্রকৃত অর্থে সে ছিল নির্দোষ ও সচ্চরিত্রবান নারী। প্ল্যানচেটের মাধ্যমে সে তার হত্যার প্রতিশোধ নেয় এবং তার চরিত্রে লেপন করা কালিমা দূর করে।