লেখক পরিচিত : জন্ম (৪ অক্টোবর, ১৯৮৩) ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। নিজেকে ঢাকাইয়া ভাবতে ভালোবাসেন। শিক্ষাগুরু রবীন্দ্রনাথ, পথচলার প্রেরণা মহান মুক্তিযুদ্ধ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও এমএ করেছেন। ফটোগ্রাফিতে করেছেন ডিপ্লোমা কোর্স। পেশায় ফটোসাংবাদিক। ইচ্ছে ছিল ছবি তোলার পাশাপাশি লেখালেখিটাও চালিয়ে যাবেন। লিখছেন- গল্প, ভ্রমণ-কাহিনী, ফিচার...। ইংরেজি ভাষা ও হিন্দিসাহিত্য থেকে অনুবাদও করেছেন। প্রথম লেখা ছাপা হয় কলেজ ম্যাগাজিনে, সেটা ২০০৩ সালের কথা। ভারত-বিচিত্রায় কবিতা ছাপা হয় ২০০৬ সালে; এরপরের বছর কাসমেট বহ্নিকে বিয়ে করেন। ২০০৯-এ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রথম গল্প ছাপা হয়- অন্তুর দৌড়। প্রথম অনুবাদ গল্প বের হয় সাপ্তাহিক ২০০০-এ, তারপর ভারত বিচিত্রায় প্রায় নিয়মিত। এভাবেই শুরু। ২০০৯-এর একুশে বইমেলায় বের হয় প্রথম বই- সোলেমানী চা স্টল (গল্প)। লেখা ও ছবির বিষয় মানুষ ও জীবন-বাস্তবতা। দৈনিক যুগান্তর তার সম্বন্ধে লিখেছে, ‘তার লেখায় জীবনবোধের স্পর্শ পাওয়া যায়। পাওয়া যায় বৈচিত্র্যের ছাপও।’ বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মাসিক শিশু পত্রিকায়ও নিয়মিত লিখছেন। বেশকটি আলোচিত প্রচ্ছদ-প্রতিবেদনও (কভার-স্টোরি) লিখেছেন। ছবি তোলা ও লেখালেখি থেকে ফুরসত পেলেই গ্রাফিক আর্ট নিয়ে কাজ করেন। তাছাড়াও সঙ্গীত, বই, ভ্রমণ, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব তার আগ্রহের বিষয়। পুত্র ধন্য ও স্ত্রী বহ্নিকে নিয়ে তার স্বপ্নের মতো সংসার। প্রকাশিত বই : দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া : বাংলার ঐতিহ্য (২০০৯), ফটোগ্রাফি (২০১০), মিশন : হিটলারহত্যা ও অন্যান্য (২০১১)। এছাড়া সম্পাদনা করেছেন আমার চিঠি (২০১১) নামে একটি পত্রসংকলন। একই বছর দিব্যপ্রকাশ থেকে বের হয় অনুবাদগ্রন্থ- রুৎকার নোটবই (এক কিশোরীর লেখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডায়েরি); ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভূমিকা সম্বলিত এটিই ছিলো দুর্লভ ডায়েরিটির প্রথম বাংলা সংস্করণ। ২০১২ সালে একটি স্বপ্ন পূরণ হয়- আত্মপ্রকাশ করে ফটোগ্রাফি ডিকশনারি। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ফটোগ্রাফিক অভিধান।