একটা সুখী পাখির কালবৈশাখী ঝড়ে বাসাটা ভেঙ্গে গেলো। আকাশে উড়াল দিতেই শিকারির গুলিতে মারা না পড়ে বেঁচে ফিরলো পাখা দুটো হারিয়ে। ক্লান্ত শরীরে মাটিতে এসে বসার পর দেখতে পেলো, সামনে বসা এক ক্ষুধার্ত বাঘ। আর বাঘটা কিছু খেতে না পারলে মারা যাবে এখুনি। ডানাহীন পাখিটা যখন জীবন বাঁচাতে ক্ষুধার্ত তখন বাঘ পাখিটাকে খেতে গিয়ে পুনরায় আবারো টের পেলো, দুর্ঘটনায় হারিয়েছে তার জিহ্বা।
তারা দু'জনেই জীবনের কাছে এখন ক্ষুধার্ত অথচ তারা কেউ জীবনটাকে খেতে পারছে না।
আবদুল্লাহ আল মামুন (কাইকর)
পৃথিবীর কষ্ট বোঝার জন্য লেখকদের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আগুনে পুড়ে,পুড়ে পরিণত হয়েই একজন লেখক মানুষের অনুভূতিগুলোতে আটকে দিতে পারে শব্দের বুননে। দুঃখই লেখকের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা। নবীন লেখক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কষ্টের সাথে সুসম্পর্ক। জীবনের চোরা গলিতে ছুটতে ছুটতে কালো আর আলোকে চেনা সহজ হয়ে উঠেছে তার জন্য। নাটকের চিত্রনাট্য লিখে আর প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে এর মাঝেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।