অসাধারণ একটি কবিতা আচে জালালুদ্দিন মুহাম্মদ রুমির, যার শুরুটা এমন : Out beyond ideas of wrongdoing and rightdoing, there is a field . I'll meed you there. ঠিক-বেঠিক গন্ডি ছাড়িয়ে বহুদূরে একটা মাঠ আছে, তোমার সঙ্গে তোমার সঙ্গে দেখা হবে সে মাঠে। পুরো কবিতাটাই অলৌকিক কোনো উচ্চারণের মতো, যেন ঘোরের মধ্যে কথ্যা বলছেন রুমি, আর অবলীলায় প্রকাশ করে চলেছেন জীবনের সারসত্য। বস্ত্তত রুমির জীবন আর কবিতা দুটোই মোহমুগ্ধতায় ভরা। যে কারণে প্রাচ্য আর প্রতীচ্য সব জায়গাতেই রুমির আবেদন চিরন্তন।কেবল রুমিই নন, পারস্য সাহিত্যের ক্লাসিক্যাল জামানার সকল কবিই এমন। তাদের জীবন আর কবিতা যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। শাহনামার জনক ফেরদৌসি, রুবাইয়াতের অমর স্রষ্টা ওমর খৈয়াম, সুফিবাদের প্রবণপুরুষ জালালুদ্দিন রুমি, পুস্প ও প্রজ্ঞার কবি শেখ সাদি আর কবিদের কবি হাফিজ। ফার্সি সাহিত্যের েএই পঞ্চপ্রতিভাকে নিয়ে পারস্যের পাঁচ গোলাপ, যাতে রয়েছে এই পাঁচ কিংবদন্তীর ব্যক্তিজীবন ও কবিজীবন দুটোতেই আলো ফেলার চেষ্টা।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।