ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ বাঙালি ঔপন্যাসিকদের মধ্যে ইতোপূর্বে সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় লন্ডনের পটভূমিকায় বেশ কয়েকটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। আব্দুর রউফ চৌধুরীর পরদেশে পরবাসে উপন্যাস পটভূমির অভিন্নতা সত্ত্বে বাংলাদেশ হিসেবে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী আস্বাদ-আঘ্রাণ বহন করেন আনে। সন্দেহ নেই, লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় স্মৃতিকথার মতোই অদম্য ও সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে পুরো উপন্যাস। আব্দুর রউফ চৌধুরী তাঁর জীবনদৃষ্টি উপন্যাসের প্রতি অধ্যায়ে উন্মোচন করেছেন, গোপন করেননি কোথাও। উপন্যাস রচনার একটি সাহজিক কুশলতা লেখকের অর্জনে আছে।
লেখক পরিচিতি আব্দুর রউফ চৌধুরী ডাকনাম রূপ মিয়া। জন্ম: ১ মার্চ, ১৯২৯। হবিগঞ্জ জেলার মুকিমপুর গ্রামে। মৃত্যু: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬। শিক্ষা জীবন : ১৯৪৭ সালে ১ম বিঘাগে আইএ পাশ করেন। কর্মজীবন শুরু হয় ব্যবসা দিয়ে মৌলভীবাজারে অতঃপর এক বড় দোকানে বুক কিপিং চাকুরী লাভ। ১৯৪৯ সালে হবিগঞ্জ মুকিমপুর আউশকান্দি হাইস্কুলে শিক্ষকতার সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান এবং সপরিবারে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরু। ১৯৬১ সালে বিমান বাহিনীর চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে সপরিবারে দেশে প্রত্যাবর্তন। ১৯৬২ সালের ১০ই জানুয়ারি তিনি লন্ডনে পৌছান। তারপর থেকে শুরু হয় তাঁর বিচিত্র জীবনের অভিজ্ঞতা। ১৯৭২ সালে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তখন থেকেই তিনি লিখতে আরম্ভ করেন। আব্দুর রউফ চৌধুরীর প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত অসংখ্য উপন্যাস, ছোট গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা ও রচনা সম্ভার আমাদের সমৃদ্ধ করে গেছেন। লেখকের আরেকটি বই নতুন দিগন্ত সমগ্র।