প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (হার্ডকভার)
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড। গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী। এই বই তরুন সমাজের জন্য আলো স্বরুপ।আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে প্রভাবিত হয়েছি এই বই পড়ে।বইটি পাওয়ার আগে সত্যি বলতে মনের ভিতর কিছু অজানা প্রশ্ন উকি ঝুকি মারত,যদিও ভাবতাম এগুলোর উত্তর পাবোনা কিন্তু আরিফ আজাদ ভাইয়ের প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বই থেকে মনের মধ্যে উকি মারা প্রায় সকল প্রশ্নেরই উত্তর পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। ২২ টি বিষয়ের সমন্বয়ে এই বইটি গঠিত।বইয়ের মধ্যে যদি কোন বিষয় বেশি পছন্দ হয়েছে জিজ্ঞেস করা হয় বলব "কুরআন কি মুহাম্মদ (সা) এর নিজের কথা?"," ভেল্কি বাজির সাতকাহন "এগুলা খুবই সুন্দর ছিল.নাস্তিকদের মধ্যে আমার মতে সবচেয়ে আলোচিত যুক্তি কুরআন রাসুল সা এর নিজের কথা, কিন্তু এই বইয়ে তা অতি সাবধানতার সাথে ও সুন্দরভাবে উত্তর দেয়া হয়েছে।এছাড়া ভেল্কিবাজির সাতকাহন এখানেও সাজিদ রুপমকে তার যুক্তি দিয়ে হারিয়ে দিয়েছে।নাস্তিকদের জন্যতো বইটি অভিস্বাপ স্বরুপ ছিল।শেষ পর্যন্ত বলবো কম বেশি সবাই বইটি পরেছে এবং যারা এখনো পরেননি তারা পরে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ প্রভাবিত হবেন।
Onk sundor akta kahani boita te ullekh kora hoyese akti Nastik theke astik hobar golpo tule dhora hoyese
নাস্তিক এবং নাস্তিকবাদী সকল প্রশ্নের বিপক্ষে ইসলামের আলোকে ব্যাখা এবং দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটি আস্তিকদের অন্যতম হাতিয়ার। বইটি শুধু ইসলামিক আলোকে জবাব ছাড়াও দিয়েছে অনেক ভুল ভ্রান্তির সমাধান। এছাড়া অকাট্য যুক্তি দ্বারা নাস্তিকদের ভুলের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছেন সাথে ঈমান দৃঢ় করেছেন অনেক মুমিনের। বইটি সংগ্রহ করে রাখার মত বইগুলোর মধ্য অন্যতম।
প্যারাডক্সিকাল সাজিদ বইটি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে একটি শক্ত জবাব। তীক্ষ্ণ যুক্তি দিয়ে লেখক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ইসলাম আর বিজ্ঞান যে সাংঘর্ষিক নয় তা এই বইটির লেখক আরিফ আজাদ প্রমাণ করেছেন।
বইঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ( হার্ডকভার) লেখকঃ আরিফ আজাদ কথায় আছে ' বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর'। সৃষ্টিকর্তার অশেষ সৃষ্টি চোখে পরলেও স্রষ্টার দেখা আমরা কেউ ই পাইনা। তবুও তার প্রতি আমাদের অশেষ বিশ্বাস আর ভক্তি কাজ করে প্রতিটি মুমিনের অন্তরে। আল কোরআনকে নিয়ে রিসার্চ করতে গিয়েই আজকের এই আধুনিক বিজ্ঞানের আভির্ভাব ঘটে। এই বইয়ে লেখক সেই বিষয়টি ই বুঝিয়েছেন যে, বিজ্ঞান দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। একজন নাস্তিক ছেলের স্রস্টার প্রতি বিশ্বাসী হয়ে ওঠার গল্প সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।বইটি পড়ে আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে। আমি মনে করি বইটি সবারই পড়া উচিত। ।
বইটি অসাধারন , আমার ভালো লেগেছে ।
বই:প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লেখক:আরিফ আজাদ ছোট থেকেই সায়েন্স ফিকশনের প্রতি অন্যরকম ভাললাগা কাজ করত।আর জাফর ইকবাল স্যার ছিলেন ভাললাগার কেন্দ্রবিন্দু।স্যারের প্রতিটি লেখাই অনেক ভাল লাগে।কিন্তু ইসলামকে দিয়ে যে সায়েন্সকে এত সুন্দরভাবে ব্যাখা দেওয়া যায়,তা কখনও মাথাই আসে নি!আরিফ আজাদ স্যারের "প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ" না পড়লে হয়ত জানতামই না!নামটা শুনে প্রথমে একটু অন্যরকম মনে হয়েছিল।কিন্তু পড়া শুরু করে বুঝতে পারলাম প্রতিটি বিষয়ের কত সুন্দর ব্যাখ্যা লেখক উপস্থাপন করেছেন সাবলীল ভাষায়।এটা মূলত একজন নাস্তিকের আস্তিক হওয়ার গল্প।গল্পের প্রধান চরিত্র সাজিদ একটু রহস্যময়। স্রষ্টাতে অবিশ্বাসী একজন মানুষ।কিন্তু সেই সাজিদই পরবর্তীতে একজন পরিপূর্ণ বিশ্বাসী মানুষ,যে সূক্ষ্ম যুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।অবিশ্বাসীদের সকল প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন,আর বিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে করেছেন আরও সুদৃঢ়।পবিত্র আল-কোরআনের আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা লেখক এত সুন্দরভাবে দিয়েছেন,যা হৃদয়স্পর্শী,হৃদয়গ্রাহী।ভাললাগার বইগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।আমি মনে করি সবার বইটি পড়া উচিত।আশা করি ভাল লাগবে।
এবারের বইমেলার তুমুল আলোচনা যেই বইটিকে নিয়ে সেটি ছিল প্যারাডক্সিকাল সাজিদ-২ কিন্তু আমার এবার প্রথমটা না পড়াই আগে ১ম টা কিনে আনি, সব বিষয়কে কত সুন্দরভাবে যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়েছে , যা খণ্ড করা একজন নাস্তিক/অবিশ্বাসীর জন্য অসম্ভব। গল্পের মধ্যে দিয়ে ইসলামকে জানা যাবে এই বইটা পড়লে। কুরআন কতোটা বিজ্ঞানময় তাও যুক্তি দিয়ে খুবই সাবলীল ভাবে বুঝিয়েছেন লেখক, বইয়ের প্রতিটা বিষয় মনের মধ্যে দাগ কাটতে বাধ্য। আর পড়া শেষে নিজের ধর্মের প্রতি অবশ্যই গর্ব অনুভুতিটা অবশ্যই আসবে কারণ কেউ আপনার ধর্মকে ছোট করতে আসলে আপনি তার উচিত জবাব এখন যুক্তিপ্রমাণের মাধ্যমে দিতে শিখে গিয়েছেন। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
বর্তমান সময়ে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে প্রমান চাওয়া। ধর্মের কথা আসলে তো নাস্তিকরা আরো বেশি প্রমান ও যুক্তি চায়। নাস্তিকদের বহু প্রশ্নের যুক্তি ও প্রমানসহ উত্তর দিয়ে তাদের মুখে টেপ লাগিয়ে দিয়েছে সাজিদ। ধর্মগ্রন্থ হয়েও আমাদের কুরআন কত বিজ্ঞানময় তা নাস্তিকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সাজিদ। যুক্তি ও প্রমান দেখানো নাস্তিকরা যখন কুরআন এর পক্ষে প্রমান পায় তখন তাদের অবস্থা কেমন হয় তা জানতে হলে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়তে হবেই। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯
নাস্তিকদের কঠিন প্রশ্নের জবাবে কোরআনের আলোকে বিজ্ঞানের বিবর্তনে যৌক্তিক ব্যখ্যা দিয়ে ইশ্বর আছেন তার উপযুক্ত প্রমাণ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটিতে লেখক দিয়েছেন। যারা শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করে, বিজ্ঞানের মাধ্যমে সবকিছু প্রমাণ করতে চায়, কোরআনের আলোকে তাদের যুক্তির উপর পাল্টা যুক্তি দিয়ে লেখক বুঝিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর স্রষ্টা অবশ্যই আছেন। এই বিশ্বজগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয় নি।