কোনো কোনো লেখা মানুষের চামড়ার ওপর রচিত হয়। এ তেমনই এক রচনা, যা উপন্যাস হতে গিয়ে বদলে যায় অনিঃশেষ সংলাপে; সংলাপ চলে যায় প্রবন্ধের দিকে; আর প্রবন্ধ মিশে যায় কবিতার শরীরে। মণিময়ের স্বপ্নে ও জাগরণে ফুটে ওঠে প্রান্ত-র ছবি। আর আসে একটি চরিত্র বেদনার সন্তান জীবনানন্দ দাশ। তাঁর হাত ধরে মণিময় পেরিয়ে যেতে থাকে জীবন, জীবন ওপার; কেন্দ্র থেকে প্রান্ত-র পথে। ঝরে যায় এতদিনকার ধরতাই বুলি। বিশ ও একুশ শতকের এক ট্র্যাজেডিই যেন জন্ম নিতে থাকে। রবিশংকর বলের পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন যেন এক নাশকতার সন্দর্ভ।