জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী ১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর বাংলা আবশ্যিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত সহপাঠ উপন্যাস গ্রন্থ হিসেবে নির্ধারিত ও অনুমোদিত। সৃজনশীল সাহিত্যধারার সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করা এবং তাদের ভাসাসম্পদ বৃদ্ধি, পাঠস্পৃহা বাড়ানো ও সাহিত্যের আঙ্গিকের সাথে তাদের পরিচয় দান ও সৃজনশীল লেখায় তাদের কুশলী করার মানসে গ্রন্থটি পাঠ্য হিসেবে গৃহীত।
মুহম্মদ জালালউদ্দীন বিশ্বাস
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯মে ১৯০৮ সালে বিহারের দুমকা শহরে জন্ম। অঙ্কে অনার্স নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৯২৮ সালে লিখে ফেললেন প্রথম গল্প অতসী মামী। প্রকাশিত হল ‘বিচিত্রা পত্রিকায় এরপর মাত্র ২১ বছর বয়সে উপন্যাস দিবারাত্রির কাব্য’। আলােড়ন পড়ে যায়। এরপর এক-এক করে অনেক লিখেছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণীয়—পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা, জননী, স্বাধীনতার স্বাদ ইত্যাদি। উল্লেখযােগ্য গল্পগ্রন্থ—প্রাগৈতিহাসিক, আজ কাল পরশুর গল্প, ছােট বকুলপুরের যাত্রী। বৈজ্ঞানিক মতাদর্শে দীক্ষিত এই কথাশিল্পী সারাজীবন চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সাহিত্য-সাধনা ছিল জীবিকার একমাত্র অবলম্বন কোথাও কখনও আপােস করেননি। প্রয়াণ ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৬।