প্রায় পনের'শ বছর পূর্বে।কোন এক অজ্ঞাত অভিশাপে অবগুণ্ঠিত হয়েছিলো সমগ্র সাইরান নগরী।যে অভিশাপের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিলো নগরীর প্রতিটি মানুষকে। ঘটেছিলো রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা।দীর্ঘ সময় পরেও উন্মোচন হয়নি সেই মৃত্যুরহস্য।যেখানে প্রাণপ্রিয় স্ত্রীকে হত্যা করেছিলো তার স্বামী।লোহিত রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো উজ্জ্বল তরবারি।নগরীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছিলো ষড়যন্ত্রের দুর্গন্ধ।ঠিক তখনি ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে অনিন্দ্যসুন্দরী সাপুড়ে কন্যা জেসিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন যুবরাজ জিসান।ঘটনাক্রমে প্রাসাদ ত্যাগ করতে হয়েছিলো জেসিকাকে।প্রাসাদের ভেতর সৃষ্টি হয়েছিলো মা -ছেলের দ্বন্দ্ব।প্রিয়তমা স্ত্রীর সন্ধানে প্রাসাদ ত্যাগ করলেন জিসান।অতিবাহিত হলো বছরের পর বছর।তবুও সন্ধান পায়নি অনিন্দ্যসুন্দরী জেসিকার।অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে জিসানের স্থান হলো অন্ধকার কারাগারে।যেখানে কাটাতে হয়েছিলো এক যুগেরও অধিকতর সময়। সমুদ্র পথে দস্যুদলের আক্রমণের কবলে পড়েছিলেন জিসান এবং তার সঙ্গে আসা সৈন্যরা।মৃত্যু হয়েছিলো একজন ন্যায়পরায়ণ,সাহসী ও যোগ্য শাসকের।যার মৃত্যুশোক বয়ে বেড়াচ্ছিলেন নগরীর প্রতিটি মানুষ।শুরু হয়েছিল পারস্য -রোমান যুদ্ধ। যে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছিলো মাসের পর মাস।অস্থিরতা বিরাজ করেছিল সমগ্র পারস্য এবং রোমান সাম্রাজ্য জুড়ে।তখন পারস্যের অধিকাংশ মানুষ জরথুস্ত্র ধর্মানুরাগী ছিলেন।শুরু হয়েছিলো পারস্যে বসবাসকারী রোমানদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার।অবশেষে,শর্ত সাপেক্ষে শান্তি চুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রোমানরা।রোমে জরথুষ্ট্রীয়দের স্বাধীনতা দেওয়া হবে। যদি পারস্যে খ্রিষ্টানদের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।