"বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগারো বছর বয়সের কিশোরী তাসমিনাকে নিয়ে ২০১৫ সালে লেখক নির্মাণ করেছিলেন ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’ নামে একটি ছোট্ট প্রামাণ্যচিত্র। সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসমবয়সী পুরুষ প্রতিযোগীদের সাথে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও বিজয় অর্জনের গল্প দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অগণিত দর্শকের। দুর্দান্ত কিশোরীর সেই সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনি দেখানো হয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছত্রিশটি চলচ্চিত্র উৎসবে।<br>
‘অশ্বারোহী তাসমিনা’র পরিচালক হিসেবে লেখক বিভিন্ন দেশে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। কখনো তিনি একা, আবার কখনো ছবির প্রযোজক স্ত্রী মাহবুবা বেগম হেনাসহ যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকটি উৎসবে।
চলচ্চিত্র উৎসবে এবং উৎসবের সূত্রে অন্তত বারোটি দেশে ঘুরে এলেও ‘অশ্বারোহীর বিশ্বভ্রমণ’ বইতে তিনটি দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদানের অভিজ্ঞতা প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করেছেন লেখক। এতে চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্র, উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনার, কর্মশালা ও আনন্দ অনুষ্ঠান এবং সংগঠক ও কর্মীবাহিনির পাশাপাশি তিনটি দেশের সংস্কৃতি ও জীবন, মানুষ, প্রকৃতি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও স্থাপনার সাথে পরিচয় ঘটবে পাঠকের।<br>
জার্মানির প্রিজনেস ইন্টারন্যাশনালের শহর মিউনিখ, গ্রিসের অলিম্পিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সূত্রে ছোট্ট শহর পিরগস, প্রাচীন অলিম্পিয়া নগরী এবং এথেন্সের প্রত্নতাত্ত্বিক মিউজিয়াম, স্পেনের ‘মিছে’ উৎসবের আয়োজক নগরী ভ্যালেন্সিয়া ও তার আশপাশের কয়েকটি ছোট শহরসহ রাজধানী মাদ্রিদও এসেছে এই ভ্রমণগ্রন্থে।
"