ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রুডিয়ার্ড কিপলিং একজন অসাধারণ গল্পকার। তাঁর দি জাঙ্গল বুক একটি বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থ। এই গ্রন্থের গল্পমালায় ভারতবর্ষের বনাঞ্চল তার সকল মোহনীয়তা, রহস্য ও আতঙ্ক নিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে। অরণ্যের গাছপালা, পাহাড়পর্বত, নদী-নালা ও পশুপাখির জগতকে লেখক যেভাবে পরিবেশন করেছেন তা পাঠককে মুগ্ধ করে। বাঘ, নেকড়ে, হাতি, সাপ, হরিণ, মহিষ, বানর, চিল, ময়ূর, শিয়াল, মৌমাছিসহ অরণ্যের নানা প্রাণী পাঠকের সামনে এসে হাজির হয়। আর এদের মধ্যে স্থান করে নেয় মানবশিশু মৌগলি। ল্যাংড়া বাঘ শেরখান অরণ্যের নিকটবর্তী এক গ্রাম্য কুটির থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল মৌগলিকে, কিন্তু তাকে হত্যা করার আগেই মৌগলি আশ্রয় পায় এক নেকড়ে- পরিবার। সেখানেই সে বেড়ে উঠে, অরণ্যেরই এক সন্তানরূপে।...... কিপলিং-এর দি জাঙ্গল বুক নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ঈষৎ রুপান্তরিত আকারে এর গল্পগুলি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। অরণ্যের গল্পমালা নামে কিপলিং-িএর গল্পগুলির বাংলা অনুবাদ এই গ্রন্থে পরিবেশিত হলো। আশা করছি, সববয়সী পাঠকদেরই গল্পগুলো ভালো লাগবে। সূচিপত্র *মৌগলির ভ্রাতৃবৃন্দ *কা’র শিকার *ভয় কীভাবে এলো *বাঘ!বাঘ! *অরণ্যের অনু্প্রবেশ *লাল কুকুর *বসন্তের দৌড়
রুডিয়ার্ড কিপলিং
জোসেফ রুডইয়ার্ড কিপলিং (ইংরেজি: Joseph Rudyard Kipling; জন্ম: ৩০ ডিসেম্বর, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৩৬) একজন ইংরেজ লেখক, কবি এবং সাহিত্যিক ছিলেন যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত তার অসাধারণ শিশু সাহিত্যের জন্য সুখ্যাতি লাভ করেন। তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে শিশু সাহিত্য দ্য জাঙ্গল বুক, জাস্ট টু স্টরিস, পাক অফ পুক্স হিল, কিম; উপন্যাস কিম; কবিতা ম্যান্ডালে, গুঙ্গা ডিন ইত্যাদি। এছাড়াও ১৮৯৫ সালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা ইফ - রচনা করেন। ছোটগল্প রচনার আধুনিক শিল্প নির্দেশনার একজন অন্যতম উদ্ভাবক হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তবে সব দিক দিয়ে তার শিশু সাহিত্যগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এগুলোকে শিশু সাহিত্যের ইতিহাসে একেকটি অনন্য রচনা হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। জেমস জয়েস একবার মত প্রকাশ করেছিলেন যে, 'ঊনবিংশ শতাব্দীর তিন ক্ষণজন্মা লেখক তলস্তয়, কিপলিং এবং দ্য'আনুনজিও; তাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ছিল সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তারা কেউই তাদের এই উপহারেরপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেননি।' তিনি আরও বলেন, 'এই তিনজনেরই ধর্ম ও দেশপ্রেম সম্পর্কে অর্ধ-ফ্যানাটিক ধারণা ছিল।
১৯০৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৬ সালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে লন্ডনেরওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয়।
কবীর চৌধুরী
কবীর চৌধুরী (জন্ম ১৯২৩)। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুশীল সমাজের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। দেশ-বিদেশের নাটক ও কথাসাহিত্য, পাশ্চাত্যের চিত্রকলা ও চিত্রশিল্পী এবং স্বদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির বিষয় নিয়ে রচিত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দেড় শতাধিক । তিনি ইংরেজি, আমেরিকান, ফরাসি, জার্মান, রুশ ও বুলগেরিয়ানসহ বিভিন্ন ভাষায় অনেক শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম বাংলায় এবং বাংলা ভাষায় অনেক শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা এবং নাটক বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । কবীর চৌধুরী বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন । তাছাড়া তিনি বাংলা একাডেমীর প্রধান, কুদরাত-এ-ক্ষুদা শিক্ষা কমিশন তথা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য-সচিব এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সচিব রূপে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন । সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী, একুশে ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং ভারতের উইলিয়াম কেরী পুরস্কারে ভূষিত হওয়া ছাড়াও বহু সংস্থা কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন । ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক পদে ব্রত হন ।। ৮৭ বছর বয়সেও তিনি ক্লান্তিহীনভাবে লিখে চলেছেন এবং প্রগতিবাদী সাংস্কৃতিক সামাজিক কাজে সক্রিয় রয়েছেন ।