অরিজিন
বইয়ের নাম - অরিজিন লেখক- ড্যান ব্রাউন পৃষ্ঠা সংখ্যা - ৫৫৫ বাতিঘর প্রকাশনী – চতুর্থ সংস্করণ, ২০১৮ এটি রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের ৫ম বই। এর আগে আমি শুধু দ্য দ্যা ভিঞ্চি কোড পড়েছি। অসাধারণ একটি থ্রিলার বই। যেটি ৫২ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাই অরিজিন থেকেও আমার বেশ এক্সপেকটেশন ছিল। বইটিতে একজন ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাবিদ,বিলিওনার,কম্পিউটার বিজ্ঞানী,ফিউচারিস্ট,উদ্ভাবক এবং উদ্দ্যোক্তা এডমন্ড কিয়ার্শ অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কারের কথা বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরবার জন্য একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে গুগেনহাম জাদুঘরে। যেখানে অন্য অনেক অতিথির সাথে গুরুত্বপূর্ণ একজন অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন। এডমন্ড কিয়ার্শ তার ছাত্র ও ভাল বন্ধু। এডমন্ড বলেছিল তার এই আবিষ্কার বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের এক বড় বিতর্কের জন্ম দিবে। কিন্তু আবিষ্কারের ঘোষণাটি দেবার আগেই সবার চোখের সামনে খুন হন এডমন্ড। জীবন বাঁচাতে জাদুঘরের পরিচালক ও স্পেনের যুবরানী অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। এডমন্ডের আবিষ্কারটি পৃথিবীর সামনে উন্মোচন করতে বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা। এই অভিযানে তাদের সাহায্য করে এডমন্ডের সহকারী ; তারই আবিষ্কার উইনস্টল। তাদের এই আবিষ্কার উন্মোচনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ যার ক্ষমতা স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত। অবশেষে তারা খুঁজে বের করে গোপন সংরক্ষিত সেই পাসওয়ার্ড। কিন্তু এই কোড বের করতে ল্যাংডন কে খুব বেশী জটিল কিছুর সমাধান করতে হয় নি। সেই বিখ্যাত দুটি প্রশ্ন “Where have we come from” and “ Where are we going “ এর যে সমাধান বই এ দেখানো হয়েছে তার সম্পর্কে আগেই ধারনা ছিল। হতাশ হয়েছি পড়া শেষে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকা কট্টর নাস্তিক এডমন্ডের ধর্ম কে একহাত দেখে নেয়ার জন্য ছিল বড় এক পরিকল্পনা। আর কাহিনীর মূলে থাকা সব অপরাধের মূলে যে ‘রিজেন্ট’ এর পরিচয় জেনে একটু অবাক হবেন পাঠক। তবে অনেকে আগে থেকেই ধরতে পারবেন। এই উপন্যাসে যেসব স্থাপত্য, শিল্পকলা,বিজ্ঞান ও ধর্মীয় সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তব। উপন্যাসে জানা যাবে স্পেনের মিউজিয়াম গুগেনহাম, স্পেনের বিখ্যাত চার্চ ‘সাগ্রাদা ফামিলিয়া’, প্রাচীন ইতিহাস, ভাস্কর্য ও শিল্প সম্পর্কে এবং উইলিয়াম ব্লেকের কাজ সম্পর্কে।