পৃথিবীতে পশ্চিমের সাম্রাজ্য ও ক্ষমতার বলয়কে মজবুত করার একটি প্রকল্প হলো প্রাচ্যতত্ত্ব বা ওরিয়েন্টালিজম। সারা পৃথিবীজুড়ে মুসলিম-অমুসলিম সকলেই এই তত্ত্বের মাধ্যমে পশ্চিমের মানসিক-দাসে পরিণত হয়েছে। পৃথিবী নামক গ্রহে এখন তাই যারা বাস করেন তারা হয়তো পশ্চিম নয়তো পশ্চিমেতর। এই দুইয়ের বাইরে প্রাচ্যের কোনো সম্মানজনক অস্তিত্ব পশ্চিমের কাছে নেই। প্রাচ্যের সত্য ও তথ্যকে বিকৃত করে সারা পৃথিবীতে প্রাচ্যকে অবান্তর আস্তিত্বের অধিকারী বানানো হয়েছে।
ওরিয়েন্টালিজম ইসলাম ও মুসলিম-সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞানপরিসরকে নিয়ন্ত্রণ করে। একজন মুসলিম ইসলামকে কেমন করে দেখবে সেটাও সে নিয়ন্ত্রণ করে। একজন অমুসলিম ইসলাম নিয়ে কী ভাববে, সেটা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও তার কাঁধেই। পশ্চিম শব্দটি তাই এখন আর কোনো অঞ্চলভিত্তিক ভৌগলিক পরিচয় প্রদান করে না। এখন এটি একটি আদর্শিক পরিচয়। এই আধিপত্যবাদী নারকীয় আর্দশকে বুঝতে হলে ওরিয়েন্টালিজমকে জানা আবশ্যক। বর্তমান পৃথিবীকে বোঝা তখন আমাদের জন্য সহজ হবে। কারণ প্রাচ্যতত্ত্বের হাত ধরেই পরবর্তী পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে বিপুল বির্পযয়। ইসলামোফোবিয়া তার একটি।