'ব্যাঙের বিশ্বদর্শন' বইয়ের ভূমিকা: উত্তর দেশের কোনো এক জলার এক ব্যাঙ রোদ পোহানো উপভোগ করত সে বেঁচেবর্তে, সারসপাখির ঠোঁট বাঁচিয়ে। হেমন্তের শুরুতে উত্তরের শীতের হাত থেকে বাঁচতে দক্ষিণ অভিমুখী হাঁসের এক ঝাঁক নেমে এলো ব্যাঙের জলায়। ব্যাঙটি হাঁসেদের কাছে জানতে চাইল বিশদ, দক্ষিণ ব্যাপারটা কী। দক্ষিণে উষ্ণতায় ভরা জলা, বাদা, মশা আর অঢেল সরেস খাবারের কথা শুনে ডানা ছাড়া ব্যাঙটিও খুব ভেবে অভিনব উপায় বের করল হাঁসেদের সাথে দক্ষিণে উড়ে যাবার। উড়ে উড়ে মাঠ ঘাট প্রান্তর শহর পাড়ি দিতে দিতে সে শোনে নিচের লোকেদের মুখে হাঁসেদের বুদ্ধির স্তুতি। তাই শুনে ব্যাঙ হল যারপরনাই নাখোশ। ঠিকঠাক দক্ষিণে উড়ে যাবার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল নিজেকে জাহির করা। কীভাবে সে জাহির করল নিজেকে? কী ঘটলো তারপর?