মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই গ্রন্থের তিনটি নাটক দর্শক/পাঠককে তিনটি প্রশ্নের মুখোমুখী দাঁড় করায় : এক. একজন শিক্ষিত, চাকরিজীবী, কট্টরপন্থী রাজাকার একদিন সুর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন, কীভাবে বদলে গেল? ভয়, না আত্মশুদ্ধি তার এই রূপান্তরের কারণ? দুই. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যত ন্যায়সঙ্গত, যত সোচ্চারই হোক না কেন, সমাজ, বিচার প্রক্রিয়া না বদলালে সে প্রতিবাদ প্রায়ই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর কতদিন? তিন. একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সত্তা। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে মাইলফলক, দিশারী। কিন্তু অনেকে কেন, কীভাবে তাদের রাজনৈতিক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য অর্জন করতে গিয়ে এগুলোকে কলুষিত করছে? এই প্রশ্নগুলোর জবাব নাটকের পাত্রপাত্রীর মুখে সরাসরি পাওয়া যায় না, তবে ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে এগুলোর ইঙ্গিত আছে। এই ইঙ্গিতগুলো তাৎপর্যময়। বর্তমান সময়ে এগুলো আরো প্রাসঙ্গিক।