বইয়ের ধরণ ও পরিচয় এটি একটি কবিতাগ্রন্থ। কবি এটিকে অপবিত্র বা অসভ্য বলছেন কারণ এখানে ভাষাটিও অসভ্য এবং সাথে সাথে যে শ্রেণির মানুষের অনুভূতির উদগীরণ এখানে ঘটেছে তাদেরকেও অসভ্যের বাইরে অন্য কোনো নামে বললে তা সত্য বলা হয় না বলে কবি মনে করেন। অন্তত আর্য সংস্কৃতির বিশাল ও দীর্ঘ ঐতিহ্য থেকে শিক্ষা ও দীক্ষা নিয়ে এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা অসভ্য ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না। এই অসভ্যতায় কেন কাব্য হতে গেল তার ব্যাখ্যায় কবি বলেন- ‘আমি যেদিন বুঝতে পারলাম যে আমি অমোচনীয়ভাবে এক অসভ্য তখন আমার অসভ্য হওয়ার সব ক্ষোভ ও যন্ত্রণাকে তীব্র বিকটতায় অসভ্যতম শব্দে চিৎকারে চিৎকারে ছুঁড়ে দিতে আমার একটুও লজ্জা ও সংকোচ থাকলো না। সুতরাং এ কবিতার কাব্যশক্তিই হলো অসভ্যের এই তীব্র বোধ যে সে অসভ্য।’