সাদিয়া মনে মনে আবার নতুন করে স্বপ্ন বুনছে। হৃদয়ে আঁকছে ভালােবাসার মানুষের ছবি। চোখে দেখছে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। হয়তাে পূরণ হতে যাচ্ছে মনের সেই আকাক্ষা। আর সেই আশায়ই মানুষ বারবার স্বপ্ন দেখে। কারাে স্বপ্ন হয়তাে পূরণ হয় আবার কারাে হয় না। যাদের পূরণ হয় না তারা আবার নতুন জীবন গােছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে ব্যর্থ হয়ে হারিয়ে যায় আপন জগৎ থেকে। সাদিয়া বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। বারবার স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আবার হোঁচট খেয়ে পড়ছে। বারবার হোঁচট খেয়েও স্বপ্ন দেখে চলছে সে। প্রতীক্ষায় আছে প্রিয় মানুষের জন্য। সে নিজেও জানে না আদৌ তার স্বপ্নপূরণ হবে কি না। মনের আত্মবিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে চলছে সেই প্রিয় মানুষের আশায়। কখনাে হৃদয়ের মাঝে হয়েছে রক্তক্ষরণ। কখনাে চোখ ভেসে হয়েছে আবহমান নদী। আবার কখনাে চোখ শুকিয়ে হয়েছে রােদে পােড়া বিশাল মরুভূমি। সেই ক্ষতবিক্ষত হৃদয় নিয়ে আজও বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে। কখনাে আকাশ মেঘে ঢেকে সাদিয়ার স্বপ্নকে হারিয়ে ফেলে। অচিন দেশে, কখনাে ঝােড়াে হাওয়ায় ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে বুকের প্রতিটি হাড়গােড়। তারপরও বিশাল আকাশের দিকে চেয়ে আছে কখন ঐ মেঘের মাঝে উঁকি দিয়ে হাসিমুখে বের হয়ে আসবে চাদ। সাদিয়া স্বপ্নের একবারে কাছাকাছি চলে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবসান হচ্ছে তার অপেক্ষার। কিন্তু এর মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে সেই স্বপ্ন আবারও আড়াল হয়ে গেল, মেঘের মধ্য থেকে বজ্র পড়ে সাদিয়ার হৃদয় আবারও পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। তারপরও দমে যাওয়ার পাত্রী নয় সাদিয়া। এখনাে আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় আছে। কখন আবার সেই মেঘ কাটবে আর কখন পাবে সে-ই প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য।
রেদোয়ান মাসুদ
রেদোয়ান মাসুদ বর্তমান সময়ের উদীয়মান কবিদের মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার লেখার মধ্যে ভালােবাসা, দেশপ্রেম, শিশুতােষ, মানবপ্রেম, আবেগ, অনুভূতি ও বিরহ জড়ানাে। রেদোয়ান মাসুদ ১৯৮৮ সালের ৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন মােড়ল কান্দি গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মােঃ নুরউদ্দিন মােড়ল ও মাতার নাম জামিলা খাতুন। ২০০৬ সালে তার মা মারা যান। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে এম.বি.এ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, হেলথ এইড হাসপাতালের পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পাের্টাল মােড়ল নিউজ-এর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক। কবিতা চর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৪ সালে বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা। ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার ২য় কাব্যগ্রন্থ মনে পড়ে তােমাকে’। ২০১৭ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অনেক কথা ছিল বলার। তার মনে পড়ে তােমাকে’ ও ‘অনেক কথা ছিল বলার’ বই ২টি কলকাতা বইমেলায়ও প্রকাশিত হয়েছে। যা পাঠকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ২০১৮ সালের বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার ১ম উপন্যাস ‘অপেক্ষা। তার আরাে ৩ টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তিনি কবিতা ও উপন্যাস লেখার পাশাপাশি ইতিহাস চর্চাও করে যাচ্ছেন। ইতিহাসের উপর কয়েকটি বই প্রকাশের জন্য কাজ শুরু করেছেন। তিনি জাকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে ততােটা আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।