টিজ করার অপরাধে ছোটনের কোনো শাস্তি হলো না, টিজ হওয়ার অপরাধে প্রায়শ্চিত্ত হলো নদীর, লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার স্বপ্নটা ভেঙে চুরমার হলো। বিধবা মা মান-সম্মানের ভয়ে নদীকে বিয়ে দিলো।
নদীর জীবনে শুরু হলো নতুন সংগ্রাম। স্বামী হাজতে, ননদের বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে সে আর তার বিধবা শাশুড়ি, বাবার বাড়িতে মা আর ভাইয়ের আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার চাপ। রাস্তায় বেরুলে ছোটনের অত্যাচার। সবকিছু মিলিয়ে নদীর বেঁচে থাকাই যখন কঠিন হলো তখন সে সিদ্ধান্ত নিলো ঢাকা যাবে, স্বামীর কাছাকাছি থাকবে, চাকরি করবে, সপ্তাহে একদিন হলেও মাসুদকে দেখতে যাবে কাশিমপুর কারাগারে।
নদীর চাকরি হলো কিন্তু এখানেও প্রতিদিন তাকে মুখোমুখি হতে হলো ভদ্রবেশি অনেক ছোটনের। তবু্ও নদী মাসুদের জন্য অপেক্ষা করতে চায় অনন্তকাল। হয়তো এই অপেক্ষার দিন শেষ হবে, মাসুদ কারাগার থেকে বেরিয়ে আসবে নদীর প্রতি মাসুদের সন্দেহ আর অবিশ্বাস নিয়ে। তারপর-
জিল্লুর রহমান
জিল্লুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রি. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৃত: ইউনুছ আলী, মাতা: মোছা. মরিয়ম নেছা। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ধর্মপুর ইউ.সি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাশাপাশি বিরল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি স্কাই টাচ এ্যাপার্টমেন্ট, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস এবং নটরডেম কলেজে দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
লেখালেখির অভ্যাস ছাত্রজীবন থেকেই, তাঁর লেখা প্রথম কবিতা দৈনিক তিস্তা পত্রিকায় তারপর দৈনিক উত্তর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।